ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সলিলর খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে যায় সারা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বেশ চাপে পড়ে শাসকদল। এই অবস্থায় শাসকদলের আরও চাপ বাড়ল বলে মনে করা হয়েছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল যে, তপন কান্দুর একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুর তদন্তও সিবিআই করবে।
উল্লেখ্য, তপন কান্দুর মৃত্যুর একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। এদিকে, এই মামলার তদন্ত চলাকালীনই বুধাবারে হঠাৎই তিনি মারা যান। তদন্ত চলাকালীন নিরঞ্জন বৈষ্ণবের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ঘনিয়ে পড়ে সন্দেহের মেঘ। সেই সন্দেহ নিয়েই থানার দারস্থ হন মৃত নিরঞ্জনের দাদা নেপাল বৈষ্ণব এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি সেই অভিযোগে দাবি করেন, “সকাল ৬.৩০টার সময় হঠাৎ তাঁর ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তার ওই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আমরা হতবাক হয়ে যাই। আমার সন্দেহ, পুলিস তাঁকে দিয়ে কিছু বলানোর বা লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আরও আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও সেটি সবসময় তাঁর কাছেই থাকত”। এরপরেই চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের নির্দেশ।
2022-04-13