ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনাকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। পরপর যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনার ঘটে চলেছে, তা নিয়ে এ বার একেবারে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। এমনটাই খবর বঙ্গ বিজেপি সূত্রে। মুরলীধর সেন লেন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, সামগ্রিক ঘটনায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিপুল ব্যবধানে তৃণমূল জয়লাভ করে আসার পর থেকেই গোটা রাজ্যের একাধিক জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শাসকদলের অবশ্য দাবি, যা হিংসা হয়েছিল তা মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার আগে। সেই সময় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। যদিও বিজেপি এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের তরফ থেকে লাগাতার যেভাবে টুইটে শান দেওয়া হয়েছে, তাতে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। লাগাতার চাপ বাড়ানোর মাধ্যমে রাজ্যে কি তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করা হচ্ছে? এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ১৮ জন সাংসদই সম্মিলিতভাবে এই চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট মেটার পর থেকে গত একমাসে বিজেপির প্রায় ৪০ জন কর্মী খুন হয়েছেন। ৬০ হাজার ঘর-বাড়ি পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। ঘরছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। গোটা বিষয়টির উপর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদেরা। সূত্রের খবর, পরবর্তী সংসদ অধিবেশনেও বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।