উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে ঐক্য হয়নি বিএসপি ও এসপির। যদিও নানা মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, ভোটের ফল দেখে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খোলা রাখছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ। কিন্তু বুধবারই কার্যত বিজেপির সুরেই কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় প্রকল্পের সমালোচনা করলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তিনিও গেরুয়া ব্রিগেডের মতো বলেছেন, কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্প একটা ধাপ্পা।
কয়েকদিন আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ন্যূনতম আয় প্রকল্প ঘোষণা করেন। তাতে বলা হয়, ক্ষমতায় এলে দেশের সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলির জন্য বছরে ৭২ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত করবে কংগ্রেস। বিজেপি দেশের সম্পদ ধনীদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা গরিবদের টাকা দেব। এই প্রকল্পে পাঁচ কোটি পরিবার, অর্থাৎ ২৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
মায়াবতী এদিন বলেন, বিজেপি ও কংগ্রেস হল একই পালকের পাখি। কংগ্রেসের ন্যুনতম আয় প্রকল্প ধাপ্পা ছাড়া কিছু নয়।
তিনি টুইটারে লেখেন, শাসক বিজেপি বলেছে কংগ্রেসের গরিবি হটাও-টু প্রকল্প একটা ধাপ্পা। কথাটা তারা ঠিকই বলেছে। আসলে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দরিদ্র মানুষ, শ্রমিক, কৃষকের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
এর আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নিজের ব্লগে লিখেছিলেন, কংগ্রেসের ওই ঘোষণা ধাপ্পা ছাড়া কিছু নয়। মায়াবতী ওই মন্তব্যের কথাই উল্লেখ করেছেন।
দারিদ্র ও বেকারত্বের জন্যও মায়াবতী কংগ্রেস ও বিজেপিকে দায়ী করেন। তাঁর কথায়, দারিদ্র ও বেকারত্বের অভিশাপ রয়েছে সারা দেশেই। কংগ্রেস ও বিজেপির ভুল নীতির জন্যই দেশের এই অবস্থা হয়েছে। তিনি টুইটারে লেখেন, সব হাতে কাজ দিতে পারলেই এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। বিএসপি সেরকমই চেষ্টা করছে।
মায়াবতীর আপত্তিতেই উত্তরপ্রদেশে ‘মহাগঠবন্ধনে’ কংগ্রেসকে স্থান দেওয়া হয়নি বলে শোনা যায়। তবে সপা-বসপার জোট ঘোষণা করেছে, রাহুলের কেন্দ্র অমেঠী এবং ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায় বরেলিতে তারা প্রার্থী দেবে না।
কংগ্রেস পরে ঘোষণা করে, উত্তরপ্রদেশে তারা একাই লড়বে। ওই রাজ্যে মোট ৮০ টি লোকসভা আসন আছে। সপা-বসপা জোট যেমন রাহুল ও সনিয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি, তেমন কংগ্রেসও প্রার্থী দেয়নি সাতটি কেন্দ্রে। সেখানে জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।
উত্তরপ্রদেশে ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাতটি দফাতেই ভোট হবে। ২০১৪ সালে বিজেপি জোট জিতেছিল ৭৩ টি আসন। তবে রাজ্যে কয়েকটি লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।