কর্নাটকে বজরং দল নেতা খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্য কর তথ্য। হিজাব বিতর্কের জের নয়। কর্নাটকের ঘটনায় রয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতা এমনই দাবি করেছে পুিলশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে কাসিফ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনেকেই প্রথমে দাবি করেছিলেন বজরং দলের নেতা খুনের ঘটনায় হিজাব বিতর্কের রেশ থাকতে পারে। কিন্তু পুলিশ তদন্তে জািনয়েছে যে হিজাব ঘটনার রেশ নয় ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই খুন হতে হয়েছে কর্নাটকের বজরং দলের সদস্যকে। প্রকাশ্য রাস্তায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বজরং দলের নেতাকে। ঘটনার পরেই উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয় গোটা এলাকায়।
গত কয়েক দিন ধরেই এই নিয়ে কর্নাটকে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। কর্নাটকের শিমোগ্গায় রবিভর্মার রোডে প্রকাশ্যে তাঁকে খুন করা হয়। হর্ষা নাম সেই বজরং দল নেতার। পেশায় হর্ষা একজন দর্জি। পুলিশের অনুমান পুরনো শত্রুতার কারণেই হর্ষাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হর্ষার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছিল কর্নাটকে। এমনকী হর্ষার শেষকৃত্যের শোভাযাত্রা চলাকালীন পুলিশের উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। একাধিক গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছিল। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু দোকানও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিমোগ্গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল- কলেজ। শেষে হস্তক্ষেপ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে। তিনি বলেছেন, দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এবং এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন দিন ধরেই কর্নাটক উত্তাল হয়ে উঠেছে হিজাব নির্দেশিকা ঘিরে। বিভিন্ন জুনিয়র কলেজে হিজাব পরে আসার উপরে কড়া নিষেধেজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিজাব পরে কেই কলেজে আসবে নির্দেশিকা জারির পরেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কর্নাটক। কলেজে কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রীরা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল গেরুয়া শিবির। গেরুয়া পতাকা এবং গেরুয়া চাদর গায়ে দিয়ে কলেজে কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
Source: