সর্বদলীয় বৈঠকে চিনা আগ্রাসন মোকাবিলায় চিনকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল । এবিষয়ে সকলেই সরকারের পাশে আছে বলে শুক্রবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিলেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা । এদিনের বৈঠকে চিনকে সম্পূর্ণ বয়কটের ডাকদেন তৃণমূল নেত্রী । শুক্রবার গালওয়ান শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে শুরু হল সর্বদলীয় বৈঠক। ভিডিও কনফারেন্সে সর্বদলীয় বৈঠকের শুরুতে গালওয়ান সংঘর্ষে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। গত মাসের গোড়ার দিক থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ শুরু হয়। গত সোমবার ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষে পর সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের উপস্থিত ছিলেন বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, ডিএমকে, টিআরএস, জেডি(ইউ), বিজেপি, এলজেপি, বসপা, সপা, শিবসেনা, এনসিপি-সহ ২০ টি রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা । পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর(Jayashankar)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ প্রমুখ । সীমান্ত দ্বন্দ্বে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে ভারত কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেগুলি রাজনৈতিক দলগুলিকে জানান তাঁরা। এই বৈঠক একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে আগে কেন বৈঠক ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন করেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, একমাস ধরে সরকার কী করছিল। এখন পরিস্থিতি কী, সেটাও জিজ্ঞেস করেন। এটা ইনটেলিজেন্স ব্যর্থতা কিনা, সেটাও প্রশ্ন করেন তিনি। এদিকে, এদিনের বৈঠকে এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরদ পাওয়ার বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ঠিক হয় সৈন্যরা অস্ত্র বহন করবে কি না। এই সব সংবেদনশীল বিষয়গুলি আরও খেয়াল রাখা দরকার বলে জানান তিনি। টিআরএস নেতা কেসিআর বলেন, মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের ডাকে ভয় পেয়ে গিয়েছে চিন। কাশ্মীরের উন্নয়ন নিয়ে মোদী যা বলেছেন, এতে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে চিন বলে জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুতে সম্পূর্ণ ভাবে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন ও বিজেডির প্রতিনিধি পিনাকী মিশ্র। এদিনের সর্বদল বৈঠকে গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এদিন চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেন তিনি। মমতা বলেন, এতে হয়তো কিছু দিন আমাদের সমস্যা হবে। কিন্তু চৈনিকদের ঢুকতে দেওয়া চলবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, চিনে কোনও গণতন্ত্র নেই। ওদের একনায়কতন্ত্র আছে। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু আমাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। চিন হেরে যাবে, ভারত জিতবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করব, একসঙ্গে ভাবব, আমরা সরকারের পাশে আছি।
2020-06-20