জম্মু কাশ্মীর থেকে তিন কুখ্যাত জঙ্গিকে রবিবার দুপুরে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের নৈনি সেন্ট্রাল জেলে ট্র্যান্সফার করা হয়। সুরক্ষার জন্য জম্মু কাশ্মীরের পুলিশের সাথে সেনার জওয়ানদেরও সেই সময় জেলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল। এর সাথে সাথে রবিবার জেলে কয়েদিদের সাথে পরিবারের সাক্ষাৎ স্থগিত রাখা হয়। জেলকে চারিদিক থেকে সিল করে দেওয়া হয়। বিগত তিন দিনে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৭০ এর বেশি কয়েদিকে উত্তর প্রদেশের উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন জেলে ট্রান্সফার করা হয়েছে।
শুক্রবার জম্মু কাশ্মীর থেকে ২০ জন কুখ্যাত জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উত্তর প্রদেশের জেলে ট্র্যান্সফার করা হয়েছিল। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ ধারা হটিয়ে দেওয়ার পর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়ে। শোনা যাচ্ছে যে, জম্মু কাশ্মীরে সুরক্ষার জন্যই মোদী সরকার এই অ্যাকশন নিচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে যে, উত্তর প্রদেশের ব্যারেলি, ঝাঁসি আর লখনৌ জেলের বন্দিদের অন্য যায়গায় ট্র্যান্সফার করা হচ্ছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরের কয়দিদের দেশের অন্য জেলে স্থানান্তরিত করা যাবে। আর ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই মোদী সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। জম্মু কাশ্মীর থেকে নিয়ে গিয়ে এই জঙ্গিদের উত্তর প্রদেশের জেলে আরও কড়া সুরক্ষার মধ্যে রাখা হবে। সুরক্ষার জন্য আশেপাশের থানা থেকেও পুলিশ ফোর্স নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ সুপার সমেত বড়বড় আধিকারিকরা জেলের সমস্ত সুরক্ষার পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আপানদের জানিয়ে রাখি, এর আগে বৃহস্পতিবার শ্রীনগর, জম্মু কাশ্মীর এবং কাঠুয়া জেলে বন্দি প্রায় ১০০ এর বেশি জঙ্গি, পাথরবাজদের দেশের আলাদা আলাদা জেলে ট্র্যান্সফার করা হয়েছে। প্রথমে শোনা গেছিল যে, আগ্রায় ৭০ জন বন্দিকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়ে যে, সেখানে ২৬ জন কয়দিকে রাখা হয়েছে।