84 বছরের জেসুইট পাদ্রী আলঝাইমার্স ও হৃদরোগের রোগী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগ ছিল প্রবল এবং সেই সঙ্গে প্রচুর আদিবাসীকে ধর্মান্তরিত করেছিলেন

স্ট্যান স্বামী সম্বন্ধে এটাই হল বাস্তব।

ফাদার স্ট্যান স্বামী গতকাল মুম্বাইয়ের ক্রিশ্চান মিশনারিদের দ্বারা পরিচালিত হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে মারা গেছেন। ভাগ্যিস, জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মারা যাননি। তাহলে সব দোষ পড়ত কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে। মৃত্যু সবসময়ই দুঃখজনক, এক্ষেত্রে বেশি দুঃখজনক এই কারণে যে,স্ট্যান স্বামী খুবই চর্চিত নাম এবং বলা যায়, মোদি-সরকারের বিরুদ্ধে যত শক্তি আছে এদেশে, তাদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ পুরুষ। কাল্ট ফিগার বিশেষ। আজকের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রথম পাতার কয়েক কলম জুড়ে। সেখানে তাঁর প্রধান পরিচয়, ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তিনি অগ্রবর্তী সৈনিক। তিনি যে জেসুইট পাদ্রী ছিলেন, মাওবাদী সহিংস রাজনীতির সঙ্গে যে তাঁর গভীর যোগ ছিল, মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরেগাঁও হিংসক ঘটনার সঙ্গে যে তিনি যুক্ত ছিলেন–এসব খবর খুব ছোট করে হলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু যে খবরটির উল্লেখ আদৌ করা হয়নি, সেটা হল, ঝাড়খণ্ডের প্রায় 32% আদিবাসী জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে তিনি কিভাবে ক্রিশ্চান ধর্মে যুক্ত করেছিলেন। অর্থ চাকরি ও শিক্ষার টোপ দিয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে 2015 সালে প্রথম মামলা হয় এই ধর্মান্তরণ নিয়ে। প্রমাণ এতটাই পোক্ত ছিল যে, স্বামী অস্বীকার করতে পারেননি অভিযোগ। মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভিযোগ যে সত্য, তার প্রমাণ তাঁকে দেওয়া চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে। এই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করতে পারেননি, যদিও এইসব কাজকে বলেছেন, আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার লড়াই।
পালঘরের দুই সাধুকে পিটিয়ে মারার ঘটনার কী হল, সে সম্পর্কে কিছু জানেন কি? কোনও খবরের কাগজে তার কোন উল্লেখ দেখেছেন কি? দেখবেন না। কারণ সাধুখুন নিয়ে প্রগতিপন্থী ও সেকুলাররা সবসময় নীরব থাকেন। কিন্তু স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তারা।
84 বছরের জেসুইট পাদ্রী আলঝাইমার্স ও হৃদরোগের রোগী ছিলেন। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে যোগ ছিল প্রবল। সেই সঙ্গে প্রচুর আদিবাসীকে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। ঝাড়খণ্ডের বিশ্ব হিন্দু পরিষদ না থাকলে আরো কত সহজ সরল আদিবাসীকে যে তিনি ক্রিস্টান করতেন, তার ইয়ত্তা নেই। এরকম একজন মানুষের মৃত্যু অন্তত দেশের পক্ষে মঙ্গলের।

Manoj Das লিখছেন –

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.