২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে কলকাতা এসে শ্রদ্ধাদানের পর ফিরে গিয়ে এই সফরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার কলকাতায় পরাক্রম দিবস কর্মসূচির মূল আলোচনার পাশাপাশি, ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতার কিছু কথা এবং নেতাজির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলির মুহূর্ত-ও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তার ভাষণ এবং ভিডিওতে বলেছেন, “১২৫ বছর আগে এই দিনে ভারতে এক সাহসী পুত্রের জন্ম হয়েছিল যিনি এক স্বাধীন ভারতের স্বপ্নকে নয়া দিক দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “নেতাজির মতো দৃঢ় উদ্দেশ্য সম্পন্ন লোকের কাছে কিছুই অসম্ভব ছিল না।”
তিনি বলেছেন, “আজ নতুন ভারতে সংঘটিত ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি নেতাজি সুভাষ বোসকে অত্যন্ত গর্বিত করবে। দেশ যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে, বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলিতে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষা এবং চিকিত্সা খাতে ভারতীয় কর্মীদের দেখে নেতাজির মনে কী অনুভূত হত? নেতাজি অত্যন্ত গর্বিত হত।”
উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ৩ টে নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেস কোর্সে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে নেতাজি ভবনে পৌঁছে যান মোদী। নেতাজি ভবন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী।
ন্যাশনাল লাইব্রেই থেকে তিনি যান ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে আবেগঘন মুহূর্ত। ছোটবেলা থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের নাম কানে আসতেই শক্তি পেতাম।
তিনি বলেন, ১২৫ বছর আগে দাসত্বের অন্ধকারে চেতনার জন্ম হয়েছিল। দুনিয়ার শক্তিশালী শাসককে বলতে পেরেছিলেন, আমি তোমার কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইব না। ছিনিয়ে নেব। আজকের দিনেই নেতাজি সুভাষের জন্ম হয়নি, আত্মগৌরবের জন্ম হয়েছিল। ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে প্রণাম করছি। বালক থেকে ত্যাগ ও তপস্যার মাধ্যমে নেতাজি হয়েছিলেন এই ভূমিকে। আমি এই পুণ্যভূমিকে প্রণাম করছি।
এবার থেকে প্রত্যেক বছর নেতাজির জন্মদিনে পরাক্রম দিবস পালন করা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরাক্রম এবং প্রেরণার প্রতীক নেতাজি, এমনটাই মনে করেন তিনি।