গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় বার সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠল উপত্যকা। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে ডেপুটি কমিশনারের অফিস লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ল জঙ্গিরা। পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর, ডেপুটি কমিশনারের অফিসকেই নিশানা করা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যচ্যুত হয় জঙ্গিরা। গ্রেনেড ফাটে অফিস চত্বরের বাইরে রাস্তায়।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে সপ্লিন্টার ছিটকে গিয়ে জখম হন পথচারীরা। আহতদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ এবং সাংবাদিকও ছিলেন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
শনিবার সকাল ১১টা। অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনারের অফিসের বাইরে নিরাপত্তা বেষ্টনী বেশ মজবুত। গত কয়েকদিনে উপত্যকায় জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা প্রবল হয়েছে। গোটা জম্মু-কাশ্মীর জুড়েই নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অনন্তনাগেরই নানা জায়গায় জঙ্গিদের নতুন ডেরা তৈরি হয়েছে। এই হামলা তারই ফল। অফিস চত্বরে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলে নিরাপত্তাকর্মী-সহ বহু মানুষের প্রাণ যেত।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই হামলার পিছনে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে এক সিআরপিএফ জওয়ানকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। নওয়া কাদাল এলাকায় সিআরপিএফ-এর ৩৮ ব্যাটেলিয়নের উপরেও জঙ্গি হামলা হয়। ওই একই দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের বাটোটে জাতীয় সড়কের উপর বাস, গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় জইশ। সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাবে নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। শহিদ হন এক সেনা জওয়ানও।
পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী জইশ হামলার পরদিনই জঙ্গিদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ। প্রাণ গিয়েছিল সেনা মেজর কেতন শর্মার। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার মুখেই বিকেলের দিকে পুলওয়ামায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। সেখানেও জখন হন ন’জন জওয়ান। জঙ্গিলের গুলির জবাব দেয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ। ঘণ্টা খানেকের এনকাউন্টারে খতম হয় দুই জইশ জঙ্গি।