দিনের পর দিন মহম্মদ আশিক স্কুলছাত্রীকে হোটেলে বন্দি করে লাগাতার ধর্ষণ করতো। মেয়েটি আবার তারই ছাত্রী, কিন্তু শিক্ষকসুলভ আচরণের পরিবর্তে স্যারের কাছ থেকে ‘জানোয়ারসুলভ’ আচরণ।
অবশেষে গ্রেফতার আশিক ও অভিযুক্ত মহম্মদ কামরুল ও হোটেলের ম্যানেজার মহম্মদ শাহীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কক্সবাজার শহরে এক স্কুলছাত্রীকে দু’দিন হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এজাহারে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, আশিক-সহ কয়েকজন যুবক গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে মমস গেস্ট হাউজে নিয়ে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এদিকে, মামলা করার পর আসামিরা তাঁদের হুমকি দিচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিতার বাবা।
জানা গিয়েছে, ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ২৭ বছর বয়সী আশিক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার জানান। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের দু’টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মহম্মদ কামরুল এবং ‘ধর্ষণের’ ঘটনাস্থল মমস গেস্ট হাউজের ম্যানেজার মহম্মদ শাহীনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লাগাতার বাড়ছে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা। করোনা আবহে বাংলাদেশে (Bangladesh) খুন-ডাকাতি কমলেও বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য। মহামারীর মধ্যেও গত অর্থ বর্ষে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে।