আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভারতের অত্যাধিক তীব্রতার সাথে উত্থান হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি যেভাবে ফুলেফেঁপে উঠছে তাতে বিশ্ব ভারতকে বিকল্প হিসেবে দেখছে। চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব সাম্রাজ্যে ফাটল ধরানোর জন্য একমাত্র ভারতের সামর্থ রয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ভারত সরকার হোক বা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড দুই পক্ষ ভালোভাবেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মোদী সরকারের আগেই মেক ইন ইন্ডিয়ার ডাক দিয়েছে।
জানিয়ে দি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতো কর্পোরেটদের একটা বড়ো ভূমিকা থাকে। ভারতের হয়ে সেই ভূমিকা পালন করার টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে টাটা গ্রুপ। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, টাটা (TATA) গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ভারতে সেমিকন্ডাক্টর নির্মান করবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে টাটা গ্রুপের বর্তমানে চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরণ (Natarajan Chandrasekaran) বলেছেন, “আমরা সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।”
টাটা এই ব্যবসায় মনোনিবেশ করলে তা চীনের জন্য বড়ো ঝটকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মুল কারণ, ভারত বিশ্বের জন্য বড়ো বাজার। যেখানের প্রয়োজনীয়তাকে কাজে লাগিয়ে চীন মোটা মুনাফা অর্জন করে। টাটা এই মার্কেট ধরলে তাতে দেশের অর্থ দেশে তো থাকবেই পাশাপাশি বিশ্ব বাজারেও প্রভাব ফেলবে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের ইন্ডাস্ট্রি ৫২৭ বিলিয়ন ডলারের থেকেও বেশি।
জানিয়ে দি, ইলেক্ট্রনিক্স ক্ষেত্রে এখন প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসে সেমিকন্ডাক্টর ব্যাবহার হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে বিমানে সেমিকন্ডাক্টর ব্যাবহার হয়ে থাকে। সেমিকন্ডাক্টর নির্মাণে সর্বাধিক এগিয়ে চীন। মোটা ইনভেস্ট এর কারনে অন্যান্য দেশ এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজেই নামতে চাই না।
অন্যদিকে সেমিকন্ডাক্টরের ইন্ডাস্ট্রির প্রভাব এতটাই বেশি যে উৎপাদন বন্ধ হলে পুরো বিশ্ব প্রায় অচল হয়ে যেতে পারে। সেহেতু ভারত যদি এই ইন্ডাস্ট্রির বস হতে পারে তাহলেই হবে বড়ো জয়।