আগামী ২২ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরাট জনসভার আয়োজন করছে বিজেপি। অনুমান করা হচ্ছে, ওইদিন থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দেবে তারা। ওই জনসভার মঞ্চ থেকে দিল্লির অবৈধ কলোনিগুলিকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের অধীনে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ারও কথা রয়েছে। দিল্লি বিজেপির পক্ষ থেকে ওইদিন প্রচুর মানুষের জমায়েত করারও চেষ্টা হচ্ছে। আর সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির উপর হামলা চালানোর ছক কষছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ ও এসপিজি আধিকারিকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে সর্বদা প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জনসভার দিন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। ফলে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাঝে পাকিস্তানের জঙ্গিরা প্রধানমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করছে বলে খবর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ফলে আরও কড়া নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলী অক্ষরে অক্ষরে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে।
বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে টার্গেট করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। এই জন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তারা নতুন নতুন জঙ্গি নিয়োগ করেছে বলে খবর। পাকিস্তানের তরফে বালাকোটের হামলার কথা স্বীকার করা হয়নি। কিন্তু, ওই ঘটনায় জইশের প্রচুর ক্ষতি হয়। আর তার প্রতিশোধ নিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করতে চায় তারা।
এই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ(CRPF) কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই মহম্মদ। তার বদলা নিতে ওই মাসের ২৬ তারিখ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের খাইবার পাখতুন প্রদেশের বালাকোটে থাকা জইশ ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ভারত। এর ফলে প্রায় ৩০০ জন জঙ্গি খতম হয় বলে খবর। যদিও তা মানতে চায়নি পাকিস্তান।