আগ্রা দায়রা জজ আদালতে ২০১৫ সালে একদল আইনজীবী মোট সাতটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সমস্ত পিটিশনে বলা হয়েছিল, তাজমহলে গিয়ে হিন্দুদের পুজো পাঠ করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে পিটিশনে আরও দাবি করা হয়েছিল, এই বিশ্ব বিখ্যাত সৌধ আসলে তেজো মহালয়। যা আদতে একটি শিব মন্দির ছিল। এরপর থেকেই দেশজুড়ে তাজমহলকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
আদালতের কাছে মামলাকারীদের আবেদন ছিল, রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হোক। যে কমিটি তাজমহলে কক্ষগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে যে, সেখানে আদৌ কোনো হিন্দু দেবতার মূর্তি বা ধর্মগ্রন্থ রয়েছে কিনা। যদি থেকে থাকে বা তার কোন প্রমাণ থাকে তা দেশবাসী সামনে আনবে। সে সময় শ্রী অগ্রেশ্বর মহাদেব নাগনাথেশ্বর বিরাজমানের বা ভগবান শিবের হয়ে এই মামলা দায়ের করেছিলেন বন্ধু শঙ্কর জৈন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কম করে ১০৯ টি ঐতিহাসিক প্রমাণ ও প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে এটি হিন্দুদের মন্দির ছিল এককালে। যা ইতিহাসে সুপরিচিত রয়েছে ‘তেজো মহালয়’ নামে।
মামলাকারী শঙ্কর জৈন ভারতের শিবমন্দির গুলির সঙ্গে যথেষ্ট মিল খুঁজে পান তাজমহলের। কারণ তিনি জানিয়েছিলেন, শিবমন্দির গুলির বৈশিষ্ট্য ও স্থাপত্য শিল্পের সঙ্গে মিল রয়েছে তাজমহলের। যদিও মামলাকারীর যুক্তি আদালতে খাটেনি। আবেদন মানা হয়নি। এখনও পর্যন্ত সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে আগ্রার নিম্ন আদালতে। আগ্রার আদালতে অতীতে করা সেই আর্জি বিফলে চলে গেলেও প্রায় একই ধরনের আবেদন আবারও করা হয়েছে গত সপ্তাহে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডক্টর রজনীশ সিং আবেদন করে জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে তাজমহলের ২০ টি ঘর খোলার জন্য যেন নির্দেশ দেওয়া হয়।
আবেদনে রজনীশ সিং জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে তাজমহলকে ঘিরে। কারণ, ২০ টি কক্ষ বন্ধ রয়েছে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, সেখানে হিন্দু দেবতা ও ধর্ম বই রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি পিটিশন দাখিল করেছি হাই কোর্টে, যাতে আগামী দিনে কক্ষগুলোকে খুলে দেওয়া হয়।
2022-05-14