টুপ করে আপেল পড়লো মাটিতে। আর তা দেখে ঝুপ করে নিউটন আবিস্কার করলেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। এ গল্প আপনার জানা। শুধু আপনি কেন আপনার বাবাও জানে ছেলেও জানে। আচ্ছা,আর্যভট্ট কি করে শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন? জানেন? ধুর জেনে কি হবে।
আইনস্টাইন বললেন E=MC2. হাততালি হাততালি। কি দারুন না। তার দুহাজার বছর আগে ভারতের এক আশ্রমে বসে এক ঋষি বললেন। পৃথিবী নয়, জগত। জগত মানে যা গতিশীল। ধুর বললেই হলো।
সুশ্রুত এর নাম শুনেছেন। সে আবার কে। কোন হরিদাস। পৃথিবীর প্রথম সার্জেন। ১১৬ রকমের ছুরি কাঁচি ব্যবহার করতেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিরাট মূর্তি আছে। পৃথিবী মেনেছে। কিন্তু আপনি? ধুর।
পৃথিবীতে যখন প্রথাগত শিক্ষা ছিল না তখন ভারতে ১৬ টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ৭২৫ টা কলেজ ছিল। কি ভাবছেন গাঁজা। নেট সার্চ করুন। পেয়ে যাবেন। ছবি সহ।
ইলিয়াড বা ওডিসি পড়েছেন। নিশ্চয়। বেশ কয়েকবার। বাল্মিকীর রামায়ণ বা ব্যাসদেবের মহাভারত। দূর, ওসব পাওয়াই যায় না।
আসলে আমরা যারা আমভারত বাসী তাদের এই এক কাঁঠাল রোগ। কিছুতেই দেশের ভাল দেখবো না। আমরাই পৃথিবীর একমাত্র শয়তান যারা নিজের দেশের অতীত নিয়ে গর্ববোধ করিনা।
এটাই রোগ। ছোট থেকেই এই ন্যাবা রোগে আক্রান্ত। এসব ভেবে লাভ নেই।
তার চেয়ে রাজ্য সরকারকে গালি দিন, কেন্দ্র সরকারের বাপ বাপান্ত করুন। নিজে কখনো আয়নায় মুখ দেখবেন না।
তার চেয়ে মঞ্চে দুর্নীতি বিরোধী ভাষন দিয়ে নেতার বাড়িতে ধর্না দিন। যদি টাকা দিয়ে ছেলের চাকরিটা হয়। মনে রাখবেন ঘোলা জলের ডোবা পুকুরে ভাল মাছ হয় না। মাগুর বোয়াল লেজ নেড়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই হচ্ছে। সেটাই দেখতে থাকুন। না হলে দেশকে জানার চেস্টা করুন। নিজেকে বদলান। দেশ বদলাবে।
( ছবিটি অস্ট্রলিয়ার মেলবোর্নে সুশ্রুত এর। পৃথিবীর সার্জারির জনক। যারা প্রমান চাইছিলেন তাদের জন্য।)