সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করার নির্দেশ

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের দাবিতে দেশের একাধিক হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ফেসবুক সেই মামলাগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করছে। ফেসবুকের করা আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী আনা হবে।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো প্রয়োজন। সে জন্য জরুরি নতুন আইন। জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। এই বিষয় সংক্রান্ত যত মামলা মাদ্রাজ, বম্বে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে রয়েছে, সেগুলিরও নিষ্পত্তি চেয়েছে কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের প্রস্তাব সংক্রান্ত তিনটি পৃথক হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলা এক জায়গায় আনার জন্য আবেদন করেছিল ফেসবুক। তার প্রেক্ষিতেই হলফনামা দিয়েছে কেন্দ্র।আগের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে কোনও বিধি তৈরি করছে কিনা তা জানতে চেয়েছিল। ২০ আগস্ট  সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং তিন রাজ্যকে নোটিশ জারি করে। ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে চলা মামলাগুলির যদি আলাদা রায় আসে তাহলে একটা দ্বিধাগ্রস্থ পরিস্থিতর সৃষ্টি হতে পারে।  সুতরাং সুপ্রিম কোর্টেই সব মমলার একে একে শুনানি হওয়া উচিত।  আবেদনে বলা হয়েছে যে মামলাগুলি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং আধার আইন দ্বারা ব্যাখ্যা করা দরকার, সুতরাং মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা উচিত। যদি উচ্চ আদালতগুলিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাতে জাল অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ভুয়া পোস্টগুলিকে আটকানো যায় সে জন্য ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আধারের সাথে যুক্ত করার দাবি করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এই কাজ করা হচ্ছে। এমনকি জঙ্গিরাও আজকাল হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার করছে যোগাযোগের জন্য। তাই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ আনতে হবে। সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.