গুরদাসপুর বলিউডের। গুরদাসপুর বিজেপির। সেটা বিনোদ খান্নার জমানা থেকেই। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার দায় এবার তাঁর কাঁধে চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁদের মুখ রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন না সানি দেওল। দু’দিন আগেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার পর থেকে ভাই ববি দেওলকে নিয়ে টানা প্রচারে ব্যস্ত বিজেপির এই প্রার্থী। মধ্যে, হাজারো ব্যস্ততা সামলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও সেরে নিয়েছেন। প্রথম প্রার্থী তা-ও লোকসভায়। এই বৈঠকে তাই আলোচনা হয়েছে রণকৌশল নিয়ে। মোদীর কাছে সানি টিপস নিয়েছেন বলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।
বলিউডের সুবাদে এমনিতেই তাঁর ভারতজোড়া খ্যাতি। ‘গদর এক প্রেম কথা’ থেকে ‘বর্ডার’, বলিউডের দৌলতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে আমজনতা। সেই জাতীয়তাবাদী আবেগকে কাজে লাগিয়ে, এবার নির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপির এই প্রার্থী। বিশেষ করে ভারতীয় বায়ুসেনার সাম্প্রতিক জবাবী হামলা যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নজির গড়েছে, তা যেন এই বিজেপি প্রার্থীর কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে।
তবুও কংগ্রেস এখানে সানি দেওলকে সহজে ছাড়তে নারাজ। কারণ পাঞ্জাবে এখন সরকারে কংগ্রেস। বিনোদ খান্নার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে গুরদাসপুরও কংগ্রেস দখল করে নিয়েছে। এখানকার বর্তমান সাংসদ সুনীল জাখর। উপনির্বাচনে তিনি বিজেপি প্রার্থী স্মরণ সালারিয়াকে প্রায় দু’লক্ষ ব্যবধানে হারিয়েছেন। এবারও সানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাখরই। আপ দাঁড় করিয়েছে পিটার মাসিহ আর পিডিএ লাল চাঁদকে। তাই ১৯ মে সানির ‘ঢাঁই কিলো কা হাত’–এ গুরদাসপুরবাসী কতটা ভরসা রাখবেন, তার অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে বললেও যেন কম বলা হয়।