হাইকোর্টে মুখপোড়া রাজ্য শাসক – আদালত জানিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নির্দেশ অমান্য করলে রাজ্যকে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে

২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ভোট পরবর্তী হিংসা। বিভিন্ন জায়গায় খুন হয়েছেন রাজনৈতিক কর্মীরা। কোথাও বা দিনের পর দিন ঘরছাড়া বিভিন্ন দলের সমর্থক। এই নিয়ে এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারীরা। সেই মামলায় আজ ফের একবার কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলো রাজ্যকে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শুনে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের সমস্ত ঘুরে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে সাহায্য করবে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা। এই লিগ্যাল কমিটি এবার রিপোর্ট দেবে আদালতকে। তার ওপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে নির্ণীত হবে মামলার রায়।

হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা সেভাবে স্বীকার করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু আমাদের কাছে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রমাণ মিলেছে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক সহ রাজ্য লিগাল সার্ভিসের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন সেভাবে সাহায্য পায়নি রাজ্যের থেকে।”

https://fb.watch/6ciyv4sEN3/

আদালত জানিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নির্দেশ অমান্য করলে রাজ্যকে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগকারী আইনজীবীদের মতে, এই নির্দেশ অত্যন্ত ভালো। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ ঘরছাড়াদের থেকে সাদা কাগজে লিখে নিচ্ছে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এবার মানবাধিকার কমিশন খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করবে।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দেন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। তাই কোনরকম সন্ত্রাসের কারণে ঘরছাড়া হয়ে থাকার ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। জানা গেছে প্রায় ৩২৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে ভোট পরবর্তী হিংসাকে কেন্দ্র করে। যার জেরেই আজ রাজ্যকে পড়তে হলো সমালোচনার মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.