কদিন আগে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ধরা পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের (Tamonash Ghosh) শরীরে। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Basu) লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড পাওয়া গেল। তবে তিনি দ্য ওয়ালকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁর শরীরে কোভিডের কোনও উপসর্গ নেই। তাই তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ দিন রাতে সুজিতবাবুকে ফোন করা হলে তিনি জানান, “আমার বাড়ির পরিচারিকার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তার পরই নিয়মমতো পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ টেস্টের রেজাল্টে দেখা গিয়েছে, আমার শরীরেও সংক্রমণ ঘটেছে করোনার”।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দমকল মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারিকার চার দিন আগে কোভিড ধরা পড়েছে। তার পর তাঁকে রাজারহাটের হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এর পরই সুজিতবাবুর পরিবারের পাঁচ জনের কোভিড টেস্ট হয়। তাঁর, তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে মেয়ে এবং আরও এক জন পরিচারিকার। ছেলে, মেয়ে বাদ দিয়ে বাকি তিন জনের শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার কথায়, স্বাভাবিক ভাবেই এখন কনট্যাক্ট ট্রেসিং করতে হবে। গত দু-তিন দিনে সুজিতবাবুর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরও কোভিড টেস্ট করা হবে।
সুজিতবাবুই রাজ্যের প্রথম কোনও মন্ত্রী যাঁর শরীরে কোভিডে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে ইতিবাচক যে তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। এ ব্যাপারে সুজিতবাবু এ দিন হেসে বলেন, কী আর করা যাবে। সংক্রমণের ঝুঁকি তো সবারই রয়েছে।
এ সপ্তাহের গোড়ায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তমোনাশ বাবুর ডায়াবেটিস রয়েছে। সেটা চিকিৎসকদের উদ্বেগের কারণ ছিল। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসার পর তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা এখনও রয়েছে।
তমোনাশ বাবুর দুই মেয়ে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও দু’জনের শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওই দুই ভদ্রলোক তমোনাশবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের একজনের স্ত্রীর শরীরেও গতকাল কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এঁদের কাউকে বেসরকারি হাসপাতালে, কাউকে আবার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারণ প্রত্যেকের শরীরেই কোভিডের উপসর্গ রয়েছে।