ভারতবর্ষের সর্বমান্য ও অন্যতম প্রধান ধর্মসংস্থান শৃঙ্গেরী পীঠের জগদগুরু শংকরাচার্য্য ‘রাহু’ল গান্ধী এবং কর্ণাটকের বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে তাঁর আশীর্বাদ দিতে অস্বীকার করেছেন ।
শঙ্করাচার্য্য তাদের বলেছেন, “আপনারা মঠে এসেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ । কিন্তু আপনারা আজ যে সব কাজ করছেন, তার পরেও আমি আপনাদের আশীর্বাদ দিতে অক্ষম ।
বৈঠক চলাকালীন, শ্রীশ্রী জগদগুরু জী ‘রাহু’ল ও সিদ্ধারামাইয়াকে বলেন, যে “যদি আপনারই হিন্দু ধর্মের প্রতি অসহিষ্ণুতার ভাব পোষণ করে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে হিন্দু ধর্ম থেকে শত যোজন দূরেই থাকুন, এভাবে নিজেদের হিতসাধনের জন্য হিন্দু মঠ-মন্দিরে প্রবেশ করে হিন্দু সমাজের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না ।
“হিন্দু মঠ-মন্দিরের অপরাধটা কি যে মন্দির পরিচালনের দায়িত্ব সরকার নিজের হাতে নিয়ে রেখেছে ? তার ওপর ভক্তদের দেওয়া প্রনামীর ধনরাশি মন্দিরের শ্রীবৃদ্ধির কাজে না লাগিয়ে, সেই অর্থ ভিন্ন ধর্মের কল্যাণ সাধনের জন্য খরচ করেন । এই কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না ।
জগদগুরু তাদের মুখের উপর স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “আপনারা আমাদের এই মঠে এসেছেন এটা খুবই ভালো কথা, কিন্তু আপনারা যেভাবে হিন্দু বিরোধী গতিবিধিতে লিপ্ত হয়েছেন, তারপরেও আমি আপনাদের আশীর্বাদ করতে পারবোনা ।
দুই রাজনেতা জগদগুরুর এমন তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া একেবারেই আশা করেননি, তারা ভালোমতো ঘাবড়ে গিয়ে বৈঠক সেরে বাইরে বেরিয়ে শলাপরামর্শ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, কি করে মিডিয়ায় এই খবর ফাঁস হওয়া থেকে আটকানো যায় ।
মঠের ভক্তরা জগদগুরুর প্রতিক্রিয়া জানতে পেরে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে, প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্তরে সমস্ত পরিচিত জনের সাথে এই আনন্দ সংবাদ ভাগ করে নেন ।
সূত্র : জগদীশচন্দ্র বী, সম্পাদক, মাসিক পত্রিকা : হিন্দুত্ব-বন্ধুত্ব