ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা পাকিস্তানে। কোরানের আয়াত লেখা পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে এক শ্রীলাঙ্কার নাগরিককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল পাকিস্তানের মুসলিমরা। মৃতের নাম প্রিয়ন্ত কুমারা। বয়স ৪০। তিনি পাকিস্তানের টি টোয়েন্টি দলের সরঞ্জাম তৈরি হয় যে কারখানায় সেখানে ম্যানেজারের কাজ করতেন। ওঁই কারখানাটিও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শিয়ালকোটের এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ন্ত কুমার চরমপন্থী ইসলামিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের একটি পোস্টার ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিযেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই পোস্টারে কোরানের কোনও উদ্ধৃতি লেখা ছিল বলে দাবি করা হযেছে। সেই বিষয়টি নাকি কারখানার কয়েকজন কর্মীর চোখে পড়ে। তারাই কারখানার বাকি লোকজনদের সে বিষয়ে জানায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, একদল লোক একটি জায়গা ঘিরে আছেন। মাঝখান থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে। জ্বলছে আগুন। সামনের লোকজন কিছুটা সরে যেতে দেখা যায় কোনও ব্যক্তিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের এল পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, কারখানা থেকে টেনে বাইরে বের করে আনা হয় প্রিয়ন্তকে। তাঁর উপর চলে নৃশংস অত্যাচার। এতটাই মারধর করা হয় যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রিয়ন্তর। তারপর তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
প্রসঙ্গত, যে ইসলামিক চরমপন্থী দলের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতার অভিযোগ উঠেছে, সেই তেহরিক-ই-লাব্বাইকের উপর থেকে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইমরানের সরকার। জেল থেকে ছাড়া হয়েছে ১, ৫০০ জনকে। যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র সুগীশ্বরা গুরুরত্ন বলেন, ইসলামাবাদের শ্রীলঙ্কার দূতাবাসকে বলা হয়েছে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করতে। পাকিস্তান সরকার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সুনিশ্চিত করুক।