অভিষেক ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হাফসেঞ্চুরি গড়ার সুযোগ ছিল শুবমান গিলের কাছে। কিন্তু মাত্র ৫ রানের জন্য সেই সুযোগ ফস্কালেন তিনি। গিলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়লেও বড় রান করতে ব্যর্থ পুজারাও। দ্বিতীয় দিন সকালে ভারতের এই দুটি উইকেটই তুলে নেন কামিংস। যদিও গিল-পুজারা আউট হওয়ার পরে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেছেন অধিনায়ক অজিঙ্ক্যা রাহানে ও হনুমা বিহারি। পার্টনারশিপ গড়ে দলের রানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আগের দিন ২৮ রানের মাথায় খেলা শুরু করার পরেই ফের একবার জীবন দান পান শুবমান। এই সুযোগকে কাজে লাগান তিনি। দিনের প্রথম ঘণ্টা সাবধানে খেলে দেন শুবমান ও পুজারা। দ্বিতীয় জন নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমায় ডিফেন্স করলেও শুবমান কিন্তু যথেষ্ট আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। কিন্তু তরুণ রক্তের জোশ ক্ষণিকের জন্য তাঁর হুঁশ খুইয়ে দিল। কামিংসের বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ৪৫ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন গিল।
শুবমানের পরে ফের কামিংসের বলেই ১৭ রানের মাথায় কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন পুজারা। ৭০ বল খেলে ফেলার পরেও বড় রান করতে ব্যর্থ হলেন ভারতের টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা।
পরপর দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ভারতীয় সমর্থকরা ভাবছিলেন, ফের না অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো অবস্থা হয়। কিন্তু তা হতে দিলেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তথা অধিনায়ক অজিঙ্ক্যা রাহানে ও হনুমা বিহারি। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পরেও যে লোকেশ রাহুলের জায়গায় তাঁর উপর ভরসা দেখিয়েছে ম্যানেজমেন্ট তারই যেন দাম দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিহারি। অন্যদিকে অধিনায়ক হওয়ায় যেন আরও পরিণত মনে হল রাহানেকে। লাঞ্চের বিরতি পর্যন্ত আর কোনও উইকেট পড়েনি।
লাঞ্চের বিরতির পরেও খেলছেন ভারতের দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান ভারতের। রাহানে ও বিহারি দু’জনেই ১৬ রান করে খেলছেন। এখনও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের থেকে ৯০ রানে পিছিয়ে ভারত। এখন দেখার ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দলের রান কোথায় নিয়ে যেতে পারে।