দ্বিতীয়বার বিপুল জনাদেশে ক্ষমতায় এসে প্রথম বিদেশ সফরে মালদ্বীপে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাই এই সফরের উদ্দেশ্য। তার সঙ্গে এটাও বোঝানো যে, প্রতিবেশী দেশের গুরুত্ব যে নয়াদিল্লির কাছে অপরিসীম।
মৌলবাদ শুধু কোনও একটা দেশের কাছে নয়, সমগ্র সভ্যতার কাছে বিরাট একটা সঙ্কট বলে মন্তব্য করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী মলদ্বীপের পার্লামেন্ট ‘মজলিশ’-এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেন, ভালো উগ্রপন্থী ও খারাপ উগ্রপন্থী বলে ফারাক করার চেষ্টা করছেন অনেকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন মোদী। পাকিস্তানের নাম না করেও মোদী বলেন রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তা তখন সভ্যতা ও মানবতার কাছে সঙ্কট হয়ে দাঁড়ায়। মোদী বলেন, জল এখন মাথার উপরে উঠে গেছে। বিশ্বের নেতারা যেন একজোট হয়ে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরাসরি পাকিস্তানের নাম না করলেও মোদী যে আসলে তাঁর কামান ইসলামাবাদের উদ্দেশেই দেগেছেন, তা স্পষ্ট। একদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মোদীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ইসলামাবাদ নয়াদিল্লির সঙ্গে কাশ্মীর-সহ সবরকম দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কথা বলতে চায়। ইমরান বলেন, দু দেশের দারিদ্র্য দূর করতে ও আঞ্চলিক উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই একমাত্র পথ।
মালদ্বীপের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েও মোদী তাঁর সবকা সাথ সবকা বিকাশ-এর কথা ব্যাখ্যা করেন। মালদ্বীপ-সহ সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই দর্শন ভারত মেনে চলে বলে জানান মোদী। ভারতের বিদেশনীতিরও এটি একটি অঙ্গ।
শনিবার মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক পুরস্কার নিশান ইজ়ুদ্দিন দিয়ে সম্মান জানায় মলদ্বীপ সরকার। মূলত ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও মিত্রতা বৃদ্ধিতে মোদীর অবদানের জন্যেই তাঁকে এই সম্মান দিয়েছে মলদ্বীপ। তাঁকে এই সম্মান দেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ।