ফ্রান্সের পর এবার স্পেন। সেই দেশেও ছড়িয়ে পড়ল করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এ কথা জানিয়েছেন স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী। সেই দেশে ১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
মন্ত্রী ক্যারোলিনা ডারিয়াস জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে করোনার এই মামলাগুলি ক্ষেত্রে দুটি পৃথক প্রাদুর্ভাবের খোঁজ পেয়েছেন। তবে কোথা থেকে এই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট স্পেনে পৌঁছল তা এখনও জানা যায়নি। ক্যারোলিনা এও জানিয়েছেন,গত সপ্তাহে স্পেনের তরফে ভারতকে সাহায্য করার জন্য ৭ টন চিকিৎসা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিমানের সাহায্য প্রতিশ্রুতি মাফিক অক্সিজেন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজনীয় মেশিন সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যে বিমানটি রওনাও দিয়ে দিয়েছে।
কিছুদিন আগে ভারতীয় করোনা স্ট্রেন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন ফরাসি নাগরিক। প্রথম ভারতীয় স্ট্রেন নিয়ে ধরা পড়েন দক্ষিণ পশ্চিম ফ্রান্সের এক মহিলা। তিনি সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন। এবং ভারত থেকে স্ট্রেন নিয়ে যান সেই দেশে। বুধবারই এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছিল সেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বাকি দুজনও নয়া ভ্যারিয়েন্ট আমদানি করে নিয়ে গিয়েছে তাদের দেশে। এরা আবার দক্ষিণ – পূর্ব ফ্রান্সের বাসিন্দা। করোনা থেকে বাঁচতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্সের যে সমস্ত ক্যাফে রেস্তোরাঁ রয়েছে তা এবার ধীরে ধীরে খোলা হবে, কারC সে দেশে সংক্রমণ রুখতে এক মাসের কড়া লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯ মে থেকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে খুলবে মিউজিয়াম, সিনেমাহল, থিয়েটার।
করোনা মোকাবিলায় ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। ভারতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেন জেনারেটর সহ তরল অক্সিজেনের কন্টেনার পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। চলতি সপ্তাহ শেষের দিকে আকাশ এবং সমুদ্র পথে ভারতে এসে পৌঁছবে দেশে। ফ্রান্স ভারতকে ৮টি অক্সিজেন জেনারেটর পাঠাবে। এই জেনারেটরগুলি ১০ বছরের জন্য একটি হাসপাতালকে স্বনির্ভর করে তোলে। এক একটি জেনারেটর ২৫০ বেডের একটি হাসপাতালের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। ৫ দিন চলবে এমন ২০০০ করোনা আক্রান্তের জন্যে লিকুইড অক্সিজেন। ২৮ টি ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ-এর বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম পাঠাবে বলে জানা গিয়েছিল।