আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ৪০৩ আসনের বিধানসভা দখলে নিজেদের মতো করে রণকৌশল তৈরি করছে রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি জনতার মনজয়ে একাধিক প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি চলছে রাজনৈতিক আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। বুধবার একযোগে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে আক্রমণ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সমাজবাদী পার্টি বা বিএসপি ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য বরাদ্দা টাকা অপব্যবহার করত বলেই অভিযোগ করে যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “আমরা সবাইকে বিনামূল্যে করোনার টিকা দিচ্ছি। এর পাশাপাশি গরীবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। যোগ্য সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনটাই হয়। কিন্তু আমাদের জায়গায় সরকারে যদি সমাজবাদী পার্টি বা বিএসপি থাকত তবে, জনকল্যাণের জন্য বরাদ্দ টাকার সবটাই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই চলে যেত।”
‘জন বিশ্বাস যাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার, ফারুখাবাদের একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি থেকে সম্প্রতি কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। এদিন সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগী বলেন, “বিগত সাড়ে চার বছরে আমরা ৪৫ লক্ষ গরীব পরিবারকে বাড়ি দিয়েছি। সমাজবাদী পার্টির শাসনের সময়েও একজন গরীব মানুষও বাড়ি পাননি। বাড়ি তৈরি টাকা কোথায় গিয়েছিল? এখন বাড়ির দেওয়াল থেকে নগদ টাকা বেরোচ্ছে।”
কয়েকদিন আগেও ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’ কর্মসূচি থেকে যোগীর মুখে উঠে আসে ‘করবস্থান’ প্রসঙ্গ। যোগীর নিশানায় ছিল অখিলেশের সমাজবাদী সরকার। আদিত্যনাথের অভিযোগ ছিল, অখিলেশের সমাদবাদী সরকার গরীবের জন্য বরাদ্দ টাকা ‘কবরস্থান’ তৈরিতে খরচ করেছে। তিনি বলেছিলেন, “আগের সরকারের সময় গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দ টাকা কবরস্থান তৈরি করার পিছনে নষ্ট করা হয়েছে। যাঁরা উর্দু ভাষা জানেই না তাদের উর্দু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সংস্কৃতের ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য কিছুই করা হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টিক সরকার, সংস্কৃত স্কুলগুলির বাড়তি যত্ন নিয়েছে।”