চলে গেলেন অরুণ জেটলি। শেষ হল জাতীয় রাজনীতির এক অধ্যায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির সেই দলের প্রতিনিধি যাঁরা মেধাকে দেশ পরিচালনায় কাজে লাগিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু কম জানা অধ্যায়।
১। অরুণ জেটলি ছিলেন অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র। স্কুল, কলেজ জীবনে তাঁর পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল খুব ভালো। প্রথমে বাণিজ্যে স্নাতক ও পরে আইন পাশ করেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
২। ছাত্র জীবনেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ে। যোগ দেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি হন।
৩। জরুরি অবস্থার সময়ে তিনি জেলে ছিলেন। এর পরে বিদ্যার্থী পরিষদের দিল্লি সভাপতি হন। একই সঙ্গে হন সর্বভারতীয় সম্পাদক।
৪। বিজেপি তৈরি হওয়ার পরে তিনি ১৯৮০ সালে দিল্লিতে দলের সভাপতি হন।
৫। রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে আইন প্র্যাক্টিস করেন। দেশের প্রথম সারির আইনজীবী হয়ে ওঠেন।
৬। অটলবিহারী বাজপেয়ীর অত্যন্ত আস্থাভাজন জেটলি বাজপেয়ি মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হন।
৭। ২০০৯ সালে তিনি রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা হন। প্রমোদ মহাজনের মৃত্যুর পরে তিনি হয়ে ওঠেন বিজেপির অন্যতম জাতীয় মুখ।
৮। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন বিজেপির অন্যতম নীতি নির্ধারক।
৯। সেই বছরেই জীবনে প্রথমবার তিনি লোকসভা নির্বাচনে অমৃতসর থেকে লড়াই করেন কিন্তু হেরে যান কংগ্রেসের অমরিন্দর সিংয়ের কাছে।
১০। তিনি ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি ছিলেন।