দেশের জনসংখ্যার বিস্ফোরণ নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিস্ফোরণ রুখতে লাল কেল্লা থেকে পরিবার পরিকল্পনায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে জনমানসে সচেতনতা গড়ে তুলতে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিকেও ভূমিকা নিতে হবে। তাঁর কথায়, “পরিবার পরিকল্পনাও এক ধরনের দেশপ্রেম।”
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা প্রয়োজন। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমাদের বুঝতে হবে, এই বিপুল জনসংখ্যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনেকগুলি সমস্যার মুখে ফেলে দিচ্ছে। ভাবতে হবে, আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি সঠিক বিচার করছি?”
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের জনসংখ্যার চিত্র ঠিক কেমন–
১। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, আগামী আট বছরের মধ্যে ভারত জনসংখ্যায় বিশ্বের এক নম্বর দেশ হবে।
২। এখন গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা ৭৫০ কোটি। এর মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটির আশপাশে।
৩। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যা ছিল ১২১ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৩।
৪। ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারতে যে পরিমাণ জনসংখ্যা বেড়েছে সেটা বিশ্বের পঞ্চম জনবহুল দেশে ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার কাছাকাছি।
৫। চিন এখন বিশ্বের জনবহুল দেশ। ভারত সেই চিনকে হারিয়ে দেবে ২০৩০ সাল নাগাদ।
৬। ভারতের মোট জনসংখ্যা আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং জাপানের যৌথ জনসংখ্যার সমান।
৭। ১৯০১ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৭। ২০১১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী ওই সময়ে জনসংখ্যা বাড়ে চার গুণের বেশি।
৮। স্বাধীনতার পরে প্রথম আদমসুমারীতে ১৯৫১ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৩৬ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার ০৯০।
৯। ২০০১ সালে ভারতে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড় জনসংখ্যা ছিল ৩২৫। সেটা ২০১১ সালে হয় ৩৮২।
১০। ভারতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু মহিলা ৯৪৩ জন।