পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনাসুলি এলাকার অন্তর্গত নয়াগ্ৰামের তফশিলী জাতির হিন্দু যুবক শঙ্কু চালকের (পিতা- রবীন্দ্রনাথ চালক) সাথে আড়াই বছর পূর্বে স্বেচ্ছায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো পার্শ্ববর্তী গ্ৰামের রেহানা খাতুন। হিন্দু গৃহবধূ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছিলো। বিবাহের পর তারা শঙ্কুর কর্মক্ষেত্র গোয়াতে চলে যায়।মাস দুয়েক পূর্বে তারা নয়াগ্ৰামে ফিরে আসে। তাদের একটি বাচ্চাও আছে। বর্তমানে কিছু হিন্দু বিরোধী শক্তি তাদের সমাজের কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে শঙ্কুর পরিবার এবং জ্ঞাতিগুষ্টিদের একঘরে করে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছে। সনাতনি সমাজের অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা মুসলমান থেকে হিন্দু গৃহবধূ হওয়া সেই মেয়েটিকে যেন ওখানকার হিন্দু সমাজ গ্ৰহণ না করে সেটার জন্যে বহু রকম প্রচেষ্টা হিন্দু বিরোধী শক্তিরা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি জানা মাত্রই তৎপর হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতা ও হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য্য। মুকুন্দ কোলে এবং সাগর হালদার কলকাতা থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছে যান। প্রসেনজিৎ দাসকে সঙ্গে নিয়ে শঙ্কু এবং তার স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রয়োজনীয় সাহায্য তাদের হাতে তুলে দেন। এটাও জানিয়ে আসেন যে ভবিষ্যতে তাদের পাশে সর্বতোভাবে থাকবেন।
যাতে শঙ্কু চালকদের মত যুবকদের সসম্মানে সমাজে গ্ৰহণ করা হয় সেজন্যে তৎপর হবার জন্যে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে লিখিত আবেদন রাখছেন দেবতনু ভট্টাচার্য্য।
তথ্যঃ সংহতি সংবাদ