১২তম বৈঠকের পর পূর্ব লাদাখের মূল পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে মোতায়েন করা সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত-চিন উভয় দেশের সেনাকর্তারা।
শনিবার পূর্ব লাদাখের গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বৈঠক হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চুসুল- মোলডো সীমান্তে। বৈঠকের দু দিন পর সোমবার দু দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয় যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তাদের বোঝা পড়াতে সুবিধা জুগিয়েছে এই আলোচনা।
তিন মাসেরও বেশি সময় পর কোর কমান্ডার স্তরে ৯ ঘন্টা ধরে হওয়া এই আলোচনায় ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লে-এর ১৪ নম্বর কোরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন এবং বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব নবীন শ্রীবাস্তব। চিনের প্রতিনিধিত্বে ছিলেন সেখানকার সেনার ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কমান্ডার জিউ কিউনিং।
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আলোচনার পরও চিন গোগরা পোস্ট থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হলেও হট স্প্রিং এলাকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনকি ডেমচক ও ডেপসাং সমভূমিতে সেনা মোতায়েন নিয়ে অনড় ছিল চিন। এছাড়াও চারডিং, নিংলুং সহ বিভিন্ন অঞ্চলে চিন যে ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে এসেছে সে নিয়েও কোন আলোচনা হয়নি বৈঠকে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি অনুসারে এই মুহুর্তে গোগরা এবং হট স্প্রিং এলাকায় স্থিতাবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্যান্য এলাকার প্রসঙ্গে আলোচনা হয়নি।
যদিও এর আগেও বহু আলোচনার পরও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন যে ভাবে তার সামরিক পরিকাঠামো বাড়িয়ে চলেছে তাতে ভারতও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সামরিক পর্যায়ে নয় কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।