সংখ্যালঘু ইস্যুতে নিজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ব্যক্ত করল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সহ সরকার্যবাহ (ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি) মনমোহন বৈদ্য বলেছেন, ‘তথাকথিত সংখ্যালঘুদের’ দেশে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া আছে।
শনিবার হিন্দু ধর্ম সংস্কৃতি মন্দিরে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আরএসএস-এর সেকেন্ড ইন কমান্ড সরকার্যবাহ দত্তারেয় হোসবলের সাথে একই মঞ্চে ভাষন দেওয়ার সময় এই কথা উল্লেখ করেন মনমোহন বৈদ্য।
তিনি আরও বলেন, “হিন্দু সংস্কৃতিতেও শেষ নবী ধরনের কোনো ধারণা নেই। “এমনকি ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলেন যে যখনই ধর্ম হুমকির মুখে পড়বে‚ তখনই তিনি অবতার রূপে আবির্ভূত হবেন।”
দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষিত হওয়ার আগে ভারত ও পাকিস্তান একই ছিলো ও একটিই সংবিধান দ্বারা শাসিত হতো বলে তিনি জানান। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের কোনো অধিকার নেই এবং ভারতে তথাকথিত সংখ্যালঘুদের অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার বৈষম্যের কথাও উঠে আসে তাঁর ভাষনে।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন‚ “সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুলনায় সংখ্যালঘুদের বেশি অধিকার রয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য অনেকগুলি উদাহরণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তাদের ধর্ম প্রচারের অধিকার আছে এবং হিন্দুদের নেই।” এমন আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যায় বলে তিনি জানান।
সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পরে, ১৯৭৬ সালে, এটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রস্তাবনা পরিবর্তন করে আনা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
জাতপাতে বৈষম্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে‚ কাস্ট আর কাস্টিজম পুরোপুরি আলাদা। প্রথমটি প্রাচীনকালে, পেশার ভিত্তিতে সমাজে একটি বিভাজন ছিল কিন্তু পরেরটি মানুষের মধ্যে বৈষম্য তৈরী করে। আমরা আমাদের জনগণের উপর অনেক নৃশংসতা করেছি, যা সংশোধন করা দরকার,” তিনি বলেছিলেন।