আশার আলো দেখিয়ে কয়েকদিনে করোনার (Corona Virus)দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা কমলেও গত একটু বেড়েছিল। তবে তা এক লক্ষের নিচেই ছিল। তবে দেশবাসীকে স্বস্তি দিল করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। আবার নিম্নমুখী করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু সংখ্যা নেমে এল সাড়ে তিন হাজারে। বাড়ছে সুস্থতার হার। যা নিয়ে আপাতত স্বস্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Central Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯১ হাজার ৭০২ জন। যা আগের দিনের থেকে বেশ কিছুটা কম। গতকাল একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪ হাজার ৫২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮২৩ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি কমেছে মৃত্যু সংখ্যাও। এদিন করোনার বলি হয়েছে ৩ হাজার ৪০৩ জন। গত কালের হিসাবে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৪৮ জনের। বৃহস্পতিবার দেশ সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছিল। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৯ জন।
তবে আশা জানিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫৮০ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৬৭১ জন। এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে ২৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৪৯ জনের। রাজ্যে রাজ্যে জারি হওয়া লকডাউনের কারণেই করোনা সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা টিকাকরণ (Vaccination) কর্মসূচি চালানো হোক। এমনই প্রস্তাব দিল অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry)। মন্ত্রক আগামী কয়েক মাস সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালানোর প্রস্তাব দেয়। তার সঙ্গেই আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোনোর পরামর্শও দেওয়া হয়। ভারতে এখন জোরদার তৎপরতার সঙ্গে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। তবে এবার ভ্যাকসিন তৈরিতে আরও দ্রুততা আনতে QUAD-এর মঞ্চকে ব্যবহার করছে ভারত। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে কোয়াড (Quad)-এর অন্তর্ভুক্ত জাপানের (Japan) সঙ্গে ভারতের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে।