পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা আগ্রাসন রুখতে জুলাইয়ের শেষের দিকে ছয়টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে। অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সমেত এই ছয়টি রাফাল যুদ্ধবিমান হাতে পেলে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি কয়েকগুণ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। এই রাফাল যুদ্ধবিমানে থাকবে অত্যাধুনিক মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি আকাশ থেকে আকাশে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যেকোনও লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে হাতে পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই চিনা আগ্রাসন রুখতে রাফাল মোতায়েন করা হবে।
ইতিমধ্যে বায়ুসেনার পাইলটরা ফ্রান্সে প্রথম পর্যায় প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। বায়ুসেনার আম্বালা বিমান ঘাঁটিটি রাফালের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমান ঘাঁটি। করোনার মারণ দৌরাত্ম সত্বেও ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ থেকে রাফায়েলের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে এই দুই বিমানঘাঁটিতে। যুদ্ধবিমানগুলি যখন ফ্রান্স থেকে ভারতের পথে ঘুরে আসবে তখন মধ্যপ্রাচ্যে আকাশের মধ্যেই ট্যাংকার বিমান দিয়ে রাফালে জ্বালানি ভরা হবে। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায় সাতজন ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলটের প্রশিক্ষণ ফ্রান্সের শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ব্যাচটি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৬ সালে ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকার ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে রাফায়েল হাতে পেলে পাকিস্তান এবং চিনের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে ভারত।
ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসন রুখতে সুখোই ৩০ এমকেআই, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯, অ্যাপাচি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও। প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া জানিয়েছিলেন, রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের হাতে এলে দক্ষিণ এশিয়ায় গেম চেঞ্জার পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাতে ফায়দা পুরোটাই হবে ভারতের।