মাওপন্থার তকমাকে বিদায় জানাতে নয়, মাওপন্থার পরিচয়কে আরও স্বাগতম জানাতে তৎপর হতে দেখা গেল জঙ্গলমহলে। উল্লেখ্য, যেখানে, মাওবাদী তকমা ঘোঁচানোর জন্য আইনজীবীদের দরবারে লম্বা লাইন পড়তো, সেখানে বর্তমানে জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষেরা আইনজীবীর কাছে গিয়ে নিজ নামে মাওবাদী তকমা দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন। তাঁরা আবেদন করে বলছেন, “স্যার দয়া করে একবার জেলে পাঠিয়ে দিন”।
মাওবাদীরা যাতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে, সেইজন্য রাজ্য সরকারের তরফে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য স্পেঢাল প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যাকেজের সুবিধা পাবেন জঙ্গলমহল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে, ওই সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী ১১০ জন মাওবাদী হোমগার্ডে চাকরি পেয়েছেন।
এই অবস্থায় ওই এলাকায় বসবাসকারীরা, যারা কিনা মাওবাদী নন, চাকরি পাওয়ার লোভে তারাও মাওবাদী তকমা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহল এলাকায় বহু মানুষকেই চাকরি পাওয়ার জন্য আদালতে ভিড় করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, তাঁরা মাওবাদী তকমা পাওয়ার জন্য টাকা খরচ করতেও রাজি হয়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি কাজ করতে ইচ্ছুক নন আইনজীবীরা পড়েছেন সমস্যায়।