জোরকদমে চলছে ‘সিনিসাইজেসন’ অর্থাৎ ধর্মের কম্যুনিস্টকরণ; উইঘুর, হুই, হ্যান চাইনিজ কেউ বাদ যাচ্ছে না

ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য দাঁড়ি রাখা, টুপি পড়া ও অবস্থানের মাধ্যমে ওই সম্প্রদায়ের কৃষ্টি প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য চীনজুড়ে ব্যাপক ভাবে ‘সিনিসাইজেসন’ অর্থাৎ কমুনিষ্টকরণ চলছে।
জি জিনপিংয়ের ২০১৪ সালে আনা নতুন ধর্মীয় আইন অনুযায়ী ওই বিষয়টিকে আইনের মোহর দেয়া হয়, যদিও অনেক আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া চলে আসছে।

চীনের কমিউনিস্ট সরকারের ভয় হলো প্রধানত ইসলাম ও খ্রীষ্টান ধর্মের সম্প্রসারণ রোধ করা। বৌদ্ধদেরকেও ওই রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় আনা হয়। কমিউনিস্ট পার্টির ভয় হলো একটাই যাতে কোনোভাবেই ধর্মের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ও আরবের ধর্ম ইসলাম এসে প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পোড়ানোর মাধ্যমে যাতে কমিউনিস্ট ভাবধারার প্রতিকূল কোনো বিষয় উপস্থাপন করা না হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া শুরু হয়। ইদানিংকালে অত্যন্ত কট্টরভাবে এই আইন কার্যকর করা হচ্ছে। মসজিদগুলোর চাঁদ-তারা সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, কোরানকেও কমিউনিস্ট ধারায় লেখা হচ্ছে এবং প্রকাশ্যে নামাজ পর আজান দেয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এই সিনিসাইজশনের আওতায় আটটি অঞ্চলের মুসলিম জনসংখ্যার উপর করা নজর রাখা হচ্ছে। ধর্মীয় নেতারা কার্যত নজরবন্দি এখন ওই দেশে।
প্রথমে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয় জিনজিয়াংয়ে, তারপর উইঘুরদের অঞ্চল ছাড়িয়ে মুসলিম হুইদের উপর দেয়া হয় প্রবল চাপ। হাজার হাজার কোরানের কপি পোড়ানো হয়, পুলিশের হানা এড়িয়ে গ্রেফতার হতে বাঁচবার জন্য কোরান মাটির নিচ্ছে চাপা দেয়া হয় অথবা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
স্ট্রেটেজিক এক্সপার্ট মার্সি এ কুও বললেন চীনের এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে আরব সহ তাবড় তাবড় দেশ যারা ইসলামের ঝান্ডা নিয়ে পৃথিবীতে পেট্রো-ডলারের মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ায় তারা সব চুপ। এই ক্ষেত্রে আমেরিকা ও অন্যান্য খ্রীষ্টান দেশগুলো ও চার্চের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও এর বিরোধিতায় কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.