ভয়াবহ পরিস্থিতি। আনলক ফোরের শুরু থেকে দেশে লাগামহীন সংক্রমণ। ভেঙে গেল সব রেকর্ড। প্রায় ৯৬ হজার মানুষ একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৭২ জনের। নোভেল করোনাভাইরাসের হানায় থরহরি কম্প দশা দেশজুড়ে। কোন পথে ঠিক কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি? উত্তর নেই কারও কাছে।
করোনার হানায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি গোটা দেশে। একদিনে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি সংখ্যায় মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণের বিদ্যুৎগতিতে ঘোর উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৬৪ জন। করোনায় দেশে মোট ৭৫ হাজার ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে-রাজ্যে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। দেশের মধ্যে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মারাঠাভূমে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৪৯।
মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশেও করোনা বিপজ্জনক আকার নিয়েছে। সেরাজযে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে কর্নাটকেও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণের এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাতেও মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯২। বাংলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৭৩০।
পঞ্জাবেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে পঞ্জাবের ১৬৭টি শহরে প্রতি রবিবার করে লকডাউনের ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার। এখন থেকে শুধুমাত্র রবিবার করেই লকডাউন হবে পঞ্জাবে।
পঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজ্যের শহরগুলিতে সারা সপ্তাহ জুড়ে রাত ৯টা ৩০ থেকে সকাল ৫ টা অবধি সাধারণ মানুষের জন্য যাতায়াত নিষিদ্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবায় ছাড় রয়েছে।