ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার (Oxford Vaccine) ট্রায়াল নিয়ে বড়সড় স্বস্তির খবর। চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চে এখনও পর্যন্ত ৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৫৩ জনকে টিকা দেওয়া এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। আশার কথা হল, এই এক সপ্তাহের মধ্যে এই ৫৩ জনের মধ্যে কারও শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা, তা এখনও জানানো হয়নি।
চণ্ডীগড়ের PGIMER হাসপাতালের এক মুখপাত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”ওই হাসপাতালে মোট ৯৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৬৫ জনকে ইতিমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৫৩ জন টিকা নেওয়ার পর এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছেন। এদের মধ্যে এখনও বড় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।” শোনা যাচ্ছে, এরপর এই হাসপাতালেই মোট ৩০০ জনের উপর অক্সফোর্ডের এই টিকাটির পরবর্তী পর্যায়ের ট্রায়াল হবে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। শুরু থেকেই এই প্রতিষেধকটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। ট্রায়ালের রিপোর্ট আসার আগেই অবশ্য সেরাম এই টিকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছে। সেরামের কর্ণধার জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে নভেম্বরেই ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ‘করোনা ভ্যাকসিনে’র ডোজ বাজারে চলে আসবে। তাঁর সংস্থা যে ‘ভ্যাকসিন’ তৈরি করবে তার ৫০ শতাংশ ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাকি বিশ্বের জন্য।
এদিকে কেন্দ্রও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যাতে টিকা পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজের খোঁজ করা হচ্ছে। এক সংবাদসংস্থা সুত্রে খবর, সরকারি-বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা, কৃষি বিপণন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা, এমনকি সুইগি বা জোম্যাটোর মতো ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছে সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটি।