শুক্ল যজুর্বেদীয় রুদ্রীপাঠ রুদ্রাষ্টাধ্যায়ী মহারুদ্রের আরাধনা, শিবলিঙ্গের উপর দুধ, দই, ঘি, মধু, সর্করা, গঙ্গাজল প্রদান করা হয়ে থাকে শ্রীঙ্গীর দ্বারা শিবলিঙ্গের উপরে অভিষেক হতে থাকে আর এই বেদমন্ত্র পাঠ চলতে থাকে তা ব্রাহ্মণ দিয়ে করানো হয় এই রুদ্রাভিষেক শিব পূজা। এই রুদ্র শিব পূজা করাতে পারলে মানুষের জীবনের সর্বচ প্রাপ্তি হয়ে থাকে সফলতা, রোগমুক্ত, দীর্ঘাযু, অকাল মৃত্যুবরণের হাত থেকে রক্ষা করেন মহারুদ্র মৃত্যুঞ্জয় মহাদেব।
মনঃ শিব-সঙ্কল্পমস্তু।
(শুক্ল যজুর্বেদ, ৩৪)
আমার মন শুভ কল্যাণকর সঙ্কল্পযুক্ত হোক।
এই শুক্ল যজুর্বেদীয় রুদ্রাধ্যায়ী সম্পর্কে একটি ধারণা বেদের মধ্যে ভগবান শিব কে আমরা রুদ্র নামে জানি। পূর্বকালে হইতে শ্রদ্ধালু বেদধ্যায়ী মানুষ গন অাত্মকল্যাণের শুক্লযজুর্বেদ থেকে আট উপযোগী অধ্যায় কে চরণ করে “রুদ্রাষ্টাধ্যায়ী” নামক গ্রন্থ হয়।
এই রুদ্র শিব হল অন্যতম জনপ্রিয় একটি হিন্দু মন্ত্র এবং শৈব সম্প্রদায়ের তাৎপর্যবাহী মন্ত্র। নমঃ শিবায়-এর অর্থ হল “ভগবান শিবকে নমস্কার” বা “সেই মঙ্গলময়কে প্রণাম!” করা এই মহারুদ্র শিবকে পঞ্চাক্ষর মন্ত্রও বলা হয় যার মানে “পাঁচ-অক্ষরযুক্ত” মন্ত্র (ওঁ ব্যতীত)। এটি ভগবান মহারুদ্র শিবের প্রতি সমর্পিত হওয়া। এই মন্ত্রে শ্রী রুদ্রম্ চমকম্ ও রুদ্রাষ্টাধ্যায়ীতে “ন”, “মঃ”, “শি”, “বা” এবং “য়” রূপে প্রকাশিত। শ্রী রুদ্রম্ চমকম্, কৃষ্ণ যজুর্বেদের অংশ এবং রুদ্রাষ্টাধ্যায়ী, শুক্ল যজুর্বেদ-এর অংশ।
নমস্কার সবাইকে শিবরাত্রির অগ্রিম শুভেচ্ছা শিবরাত্রি তাই যজুর্বেদ এর রুদ্র স্তুতি—
ওঁ নমস্তে রুদ্র মন্যব উতো ত ইষবে নমঃ।
বাহুভ্যামুত তে নমঃ।।
(শুক্ল যজুর্বেদ, ১৬/১)
ওঁ যা হে রুদ্র শিবা তনূরঘোরাহপাপকাশিনী।
তয়া নস্তন্বা শম্তময়া গিরিশম্তাভি চাকশীহি।।
(শুক্ল যজুর্বেদ, ১৬/২)
ওঁ নমো ভবায় চ রুদ্রায় চ নমঃ শর্বায় চ পশুপতয়ে
চ নমো নীলগ্রীবায় চ শিতিকন্ঠায় চ।।
(শুক্ল যজুর্বেদ, ১৬/২৮)
ওঁ নমঃ শম্ভবায় চ ময়োভবায় চ নমঃ শঙ্করায় চ ময়স্করায় চ নমঃ শিবায় চ শিবতরায় চ।।
(শুক্ল যজুর্বেদ, ১৬/৪১)
অনুবাদঃ—
হে দুঃখনাশক জ্ঞানপ্রদ রুদ্র, তোমার ক্রোধের উদ্দেশ্য নমস্কার, তোমার বাণ ও বহুযুগলকে নমস্কার করি।