ষোলোর ষোলোয়ানা, আর ঘুমিওনা কলকাতা

গোপাল কেবল সুবোধ হলেই চলে না,
দুর্দম, ডানপিটে, বামপিটেও হতে হয়;
পিটিয়ে ছাতু করার পরও সুবোধ,
তবেই না গোপাল!
৪৬-এর গোপালকে আজো খুঁজি —
হোদল কুতকুতে গ্ল্যাক্সো বেবীর দল সব,
গাছে চড়েনি, বনের বেজী বন্ধু হয়নি,
এঁদো পুকুরের ভেলায় চাপেনি,
চাঁটি মারলে ঘুঁষি মারে নি!
আর সুবোধের নামে তো মোল্লা-গোস্ত
ধরমতলায় ধরম ভাজে!
হ্যাঁ, গোপাল ছিল বটে! এক পাঁঠা।
ঝটকা-রক্তের দোকান, চপারের কারবারি,
— যে নির্বুদ্ধিতা হিন্দু বাঁচায়।
কিন্তু গোপাল ক’টা? গুণে দেখেছো কখনো?
গ্রেট ক্যালকাটা থেকে নোয়াখালী,
সব গোপালই বড্ড সুবোধ!
প্রাইজ, সারপ্রাইজ নিয়ে
সোনার তরী ভরিয়ে থুয়েছে,
নিজেরই জায়গা নেই।

শত গোপালের ঠাঁই যে গোপাল দিলো,
সে তো সত্যিই নির্বোধ!
নইলে গ্রেটার বেঙ্গল তো ছিল পাক্কা!
একটা ফোঁটা চোনা ফেলে ইতিহাসের পাতায়-পাতায়
১৬ ই আগষ্ট শুধুই পাঁঠার ছবি —
গোপাল পাঁঠা।

কচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.