গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা মিম ভাইরাল। আতসকাচ নিয়ে ঘুরছে ধুতি পরিহিত এক বাঙালি। খোঁজ চলছে মেইনস্ট্রিম বাংলা মিডিয়ার। হঠাৎ এই মিম কেন? কারণ মোমিনপুর। কলকাতার বড় মিডিয়া হাউসগুলো রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেয়। অথচ অফিস থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের মোমিনপুর নিয়ে কোনও খবর নেই! আশ্চর্য না!
একবালপুর থানা দখল করে তাণ্ডব চালাল জেহাদিরা। হাতে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিল। বেছে বেছে ভাঙা হল হিন্দুদের দোকান। বেছে বেছে লুঠ করা হল হিন্দুদের বাড়ি ঘর। প্রবল আক্রোশে ভাঙা হল দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের কাঠমো। দুদিন ধরে তাণ্ডবের সেই সব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল। অথচ অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একজন প্রতিনিধিকেও পাঠাতে পারল না বঙ্গ মিডিয়া! কেন?
বলা হয়, গোষ্ঠী সংঘর্ষ। দুই পক্ষের সংঘর্ষ। সরাসরি নাম নিতে মুখে বাঁধে বঙ্গ মিডিয়াকুলের। ওঁদের অবশ্য একটা অজুহাত আছে, এসব খবর দেখালে নাকি দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়বে। কীভাবে? খুন, ধর্ষণ, জালিয়াতি এমনকী যুদ্ধের খবরও দেখানো যাচ্ছে, অথচ এই খবরে না! সত্য ঘটনা দেখাতে বঙ্গের বীরপুঙ্গব মিডিয়াকুলের এত অনীহা কেন? নাকি সরকারি বিজ্ঞাপনের হারানোর ভয়? সেখান থেকেই এই অজুহাত?
মর্মান্তিক। প্রতিবেশীরা এভাবে হামলা চালাবে, বুঝে উঠতে পারেনি মোমিনপুরের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাঁদের বুক ভরা আর্তনাদের খবর, সত্য খবর, দেখাবে না বঙ্গের মিডিয়াকুল? সরকারি বিজ্ঞাপনের লোভে আসল খবর চেপে যাওয়া আর কতদিন চলবে? ছিঃ! এরা আবার নিজেদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে দম্ভ করে! লজ্জা!