উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তাকে ঘুমের ওষুধ এবং নেশার ওষুধ খাইয়ে দিয়ে অভিযুক্তরা গণধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যেই, মিনাখাঁ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিনজনকে। আরও তিনজনকে পুলিশ খুঁজছে। রবিবার, ধৃত তিনজনকে পুলিশ বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলে। বিচারক অভিযুক্তদের চারদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধরে গণধর্ষণ করে আসছে বছর ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি সম্রাট মোল্লা, শামীম মোল্লা, আবুতালেব মোল্লা। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই মিনাখাঁর নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তার চিকিৎসার জন্য অভিভাবকেরা নিয়ে যায় কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে। তাকে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক জানান, ওই কিশোরী এমন কিছু ওষুধ খেয়েছে যাতে ঘুম বেশি হয়। সেখান থেকেই এই সমস্যা। এরপর ওই কিশোরী তার বাবার কাছে সব ঘটনা খুলে জানিয়েছে বলে জানায়। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছে, স্কুল যাবার সময় ওই কিশোরীকে ছয় যুবক নেশার ওষুধ খাওয়াত। এর ফলে আস্তে আস্তে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।
প্রথমদিকে গোটা বিষয়টি জানা যায় না। এরপর ক্রমেই অসুস্থতা বাড়তে থাকার কারণে কিশোরীকে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে দিয়ে যৌন নির্যাতন করত। কিশোরী আরও জানিয়েছে, স্কুল যাবার পথে ওই ছয় যুবক কখনও জলের সঙ্গে আবার কখনও ঠান্ডা পানীয় সঙ্গে নেশা বা ঘুমের ওষুধ দিত। ওই ওষুধ খেয়ে কিশোরী ঘুমিয়ে পড়ত। এরপর ঘুম ঘুম ভাব কেটে গেলে মনে থাকত না কি হয়েছে। তবে খুব অসুস্থ লাগত বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে কিশোরী একটু সুস্থ হলেই তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।
2022-04-13