[ প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমির নামে হিন্দিতে একটি উদ্ধৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে আজমি হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে কিছু “অপমানজনক” মন্তব্য উদ্ধৃত করেছে।
আজমি বিষয়টি অস্বীকার করলেও , টাইমস ফ্যাক্ট চেক করে দেখেছে যে, তিনি সত্যিই 2017 সালে এমন ধরনের উদ্ধৃতি করেছিলেন।
“এই নবরাত্রিতে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে, লক্ষ্মীকে অর্থের জন্য ভিক্ষা করতে না হয়, দুর্গাকে গর্ভপাত করতে না হয়, পার্বতীকে যৌতুক দিতে না হয়, সরস্বতীকে নিরক্ষর হতে না হয় এবং সমাজে কালীর যেন ‘ ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ক্রিমের প্রয়োজনীয়তা না হয়। ইনশাআল্লাহ… হ্যাঁ , নবরাত্রিব, দুর্গা উপাসনা সম্পর্কে এমন ধরণের উক্তিই করেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমী।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় চক্রাকারভাবে প্রবীণ অভিনেত্রী এবং বুদ্ধিজীবী হিসাবে পরিচিত শাবানা আজমীর উক্ত বক্তব্যটি আবর্তিত হচ্ছে।উদ্ধৃতিটি একটি গ্রাফিক কার্ডে শেয়ার করা হচ্ছে যার পাশে আজমীর ছবি যুক্ত করা হয়েছে। গ্রাফিক কার্ডের শেষ লাইনে লেখা “আজমী কি কখনো মুসলিম সমাজের কুষ্ঠরোগ স্বরূপ তিন তালাক, বহুবিবাহ, বাধ্যতামূলক বোরখা বা হিজাব, নিকাহ-হালালা এবং জনসংখ্যা বিস্ফোরণের বিরুদ্ধে কথা বলবেন?”
এদিকে বিতর্কিত প্রবীণ অভিনেত্রীটি উক্ত বক্তব্যটিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, “আমি কখনও এটি বলিনি। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিরা এমন মিথ্যা প্রচার করছে। এগুলো ঘৃণ্য বিষয়। আমি ধর্ম নির্বিশেষে সকল নারীর জন্য কাজ করি।”
তবে সত্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে উক্ত বক্তব্যটি শাবানা আজমীরই। তবে সেটি 2017 সালের। সেখানে তিনি এরকমই একটি গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে নিজের বক্তব্য ইংরেজিতে প্রকাশ করেন। বতর্মানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবর্তিত বক্তব্যটি সেই ইংরেজির অনুবাদ ব্যতীত অধিক কিছু না।
আজমি যে গ্রাফিক কার্ডটি টুইট করেছিলেন, তাতে দুটি শব্দ আছে — “আল্লাহ এবং ইনশাআল্লাহ” — অনুবাদ করা পাঠ্য ছাড়াও এতে আরও কথা যুক্ত ছিল। তবে সারাংশ একই ছিল।
হিন্দিতে যে নতুন উদ্ধৃতিটি তাকে দায়ী করা হচ্ছে তাতে “দুর্গা অষ্টমী” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হয়ে, হয়েছে “নবরাত্রি”।
দুর্গা অষ্টমী হিন্দু উৎসব নবরাত্রির অষ্টম দিনে পড়ে। সেই অর্থে, 2017 সালে আজমির টুইটটি প্রকৃতপক্ষে নবরাত্রি সম্পর্কে ছিল।
[ শোনা যাচ্ছে, আজমি যা বলেছেন তার প্রতিক্রিয়া হিসাবে, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একটি উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
উদ্ধৃতি অনুসারে, রানাউত বলেছেন “এই ঈদে, আসুন আমরা প্রার্থনা করি যে কোনও আয়েশার ছয় বছর বয়সে বিয়ে না হয়, কোনও শাহ বানোকে তিন তালাক না দেওয়া হয়, কোনও মীনা কুমারীকে হালালা করতে হয় না, কোনও ফাতিমা চতুর্থ স্ত্রী হন না….. শেহলাকে বোরকা পরতে হবে না , ইশরাতকে সন্ত্রাসী হতে হবে না এবং মমতাজকে ১৪টি সন্তানের জন্ম দিতে হবে না।”