সেরামের মুকুটে নয়া পালক। এবার বিশ্বব্যাপী করোনার ভ্যাক্সিন সরবরাহের জন্য এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল সেরাম ইন্সটিটিউট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা বানাচ্ছে। তুলনামূলক গরিব দেশগুলিতে যাতে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কারণেই WHO-এর এই তৎপরতা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবিও-র তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে WHO।
অতিমারী মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশকে করোনার টিকাকরণের আওতায় আনার তৎপরতা নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটকে সেই কর্মসূচির মধ্যে এনে ফেলল WHO। ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১৯০টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। এই প্রতিটি দেশেই করোনার টিকা পাানো নিশ্চিত করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে, সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনেওয়ালা জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা স্বল্প আয়ের দেশগুলির জন্য করোনা টিকার প্রতিটি ডোজ তিন ডলারে বিক্রি করবে। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ ডিসেম্বর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং বায়োএনটেকের করোনা টিকাকেও ছাড়পত্র দিয়েছিল।
বিশ্বের সব প্রান্তে করোনার টিকাকরণ নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা। সেই বৈঠকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবিও-র তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। WHO-এর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অফ এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন করোনার টিকা নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
WHO-এর তরফে ডক্টর মারিযেঞ্জালা সিমাও জানিযেছেন, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের যে দেশগুলি করোনার টিকা সংগ্রহ করতে পারেনি, তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের আওতায় আনতে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ। উল্লেখ্য, ভারতে করোনার টিকাকরণ পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট। কোভিশিল্ড জরুরি ভিত্তিতে ভারতে প্রয়োগ শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। এছাড়াও হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগও চলছে দেশে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত করোনার আরও ৩-৪টি টিকা ভারতে প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই টিকাগুলি পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে।