আত্মনির্ভর ভারতের চিন্তাধারাকে জোর দেওয়া আবশ্যক : প্রধানমন্ত্রী

আত্মনির্ভর ভারতের চিন্তাধারাকে এই মুহূর্তে জোর দেওয়া আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত আবশ্যিক। এখন ভারতের প্রতিটি কোণে ভোকাল ফর লোকাল শোনা যাচ্ছে। এই আত্মগৌরবের ভাবনা আত্মনির্ভর ভারতের জন্য খুব কাজে দিচ্ছে। বুধবার বিকেলে লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেল চারটে নাগাদ জবাবি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণ ভারতের ১৩০ কোটি দেশবাসীর সঙ্কল্প শক্তি প্রদর্শিত করে। বিপরীত সময়ে এই দেশ কীভাবে রাস্তা বেছে নিয়েছে, কীভাবে রাস্তা স্থির করেছে, এই সমস্ত কিছু রাষ্ট্রপতিজি নিজের ভাষণে বলেছেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে আলোচনার সময় বিপুল সংখ্যক মহিলা সাংসদ অংশ নিয়েছেন, এটা খুব ভালো সঙ্কেত। সমস্ত মহিলা সাংসদদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।” মোদী বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে এসে পৌঁছচ্ছি আমরা। প্রতি ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। তবে, আমাদের সকলকে অবশ্যই একটি নতুন সংকল্প করতে হবে, স্বাধীনতার ১০০ তম বছরে আমরা ভারতকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই সে বিষয়ে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের কাছে আশার কিরণ ভারত। কিছু মানুষ বলতেন ভারতে মিরাকেল গণতন্ত্র, এই ভ্রম আমরা দূর করেছি। গণতন্ত্র আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে রয়েছে, আমাদের সমস্ত চিন্তাভাবনা, উদ্যোগ, প্রতিটি প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের চেতনায় পরিপূর্ণ।”


প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভর ভারতের চিন্তাধারাকে জোর দেওয়া আমাদের কাছে আবশ্যক। এটা কোনও শাসন ব্যবস্থা অথবা রাজনেতার চিন্তাধারা নয়। এখন ভারতের প্রতিটি কোণে ভোকাল ফর লোকাল শোনা যাচ্ছে। এই আত্মগৌরবের ভাবনা আত্মনির্ভর ভারতের জন্য খুব কাজে দিচ্ছে। আমাদের কাছে সন্তোষ ও গর্বের বিষয় হল, করোনার জন্য যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল, ভারতে কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। ১৩০ কোটি দেশবাসীর অনুশাসন এবং উৎসর্গ আমাদের বাঁচিয়েছে। বিশ্বে ভারতের নতুন পরিচয় তৈরি করার জন্য এটাই সঠিক সময়। চিকিৎসক, সাফাই কর্মচারী, এম্বুলেন্সের চালক সকলে ভগবানের রূপে এগিয়ে এসেছেন, তাই করোনা থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি। আমরা তাঁদের যতটা প্রসংশা করব, তা অনেক কম হবে।”প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এই ভারতেই জনধন, আধার ও মোবাইলের মাধ্যমে ২ লক্ষ কোটি টাকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনা-পরিস্থিতিতে জনধন একাউন্ট, আধার এই সমস্ত কিছু গরিবদের কাজে এসেছে। এই সময়ে সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি আমরা। প্রথম দিন থেকেই অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.