নরেন্দ্র মোদী এমন একজন নেতা যিনি কাউকে জানিয়ে কিছু করেন না। নোট বন্দি হোক, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক বা এয়ার স্ট্রাইক সবক্ষেত্রেই নরেন্দ্র মোদী হটাৎ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এখন জম্মু-কাশ্মীরে যেটা হচ্ছে সেটা থেকে অনুমান লাগানো হচ্ছে যে, J&K থেকে ধারা 370 ও 35A বিলুপ্ত করা হবে। রাষ্ট্রপতি যে কম সময় জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা 35A ও 370 মুছে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সক্রিয় রয়েছেন এবং একশন মুডে কাজ চালাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, মেহেবুবা মুফাতিকে হাউস এরেস্ট করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৩৮ হাজার সৈন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। মেহেবুবা মুফতি, ফারুখ আব্দুল্লাহ ইত্যাদি নেতাদের সাথে বৈঠক করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেহেবুবাকে পথেই আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। শুধু এই নয়, শ্রীনগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিকে অনিদৃষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। জম্মুর হিন্দু ছাত্রদের জম্মুতে ফেরত পাঠনো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে অনেকে।
এর আগে সরকার কাশ্মীরের টুরিস্ট ও অমরনাথ যাত্রীদের ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। জম্মুর প্রফেসর হরি ওম জানিয়েছেন, সরকার একশন মুডে রয়েছে এবং যেকোনো সময় রাষ্ট্রপতি ধারা 370 ও 35A মুছে ফেলতে পারে। কাশ্মীরের কট্টরপন্থী নেতারাও সরকারের উদেশ্য বুঝেতে পেরেছে যার জন্য মেহেবুবা মুফতি সরকারের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছে ধারা বিলুপ্ত না করার জন্য। বেশকিছু সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যে অনুমান লাগানো হচ্ছিল তা এখন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।