কোভ্যাক্সিনের পর এবার জাইকোভ-ডি। জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থার এই প্রতিষেধকটির মানবদেহে পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দিলি দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই হয়াদরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনকেও হিউম্যান ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই।
দেশে লাগামছাড়া সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে করোনার প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে সবাই। গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে ভ্যাকসিনের জন্য। এই আবহেই এবার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য দ্বিতীয় দেশীয় সংস্থা হিসেবে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পেল জাইডাস ক্যাডিলা।
স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে প্রয়োগ করা হবে করোনার প্রতিষেধক। আগেই হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেককেও করোনার ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের তাবড় দেশের বিজ্ঞানীরা করোনার প্রতিষেধক তৈরির কাজে ব্যস্ত। আমেরিকা ও রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছে।
যদিও পিছিয়ে নেই ভারতও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনার প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছেন গবেষকরা। কিছুদিন আগে আগস্ট মাসেই করোনার প্রতিষেধক বাজারে এসে যাবে বলে ঘোষণা করেছিল আইসিএমআর। যদিও বিতর্ক বাড়তেই সেই ঘোষণা থেকে সরে আসে আইসিএমআর।
২০২১ সালের আগে বাজারে করোনার ভ্যাকসিন আনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফেও। পরীক্ষার বেশ কয়েকটি স্তর পেরিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়ার পরেই করোনার প্রতিষেধক বাজারে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
করোনার ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের জন্য আগেই হায়দরাবাদের সংস্থাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এবার দেশেরই আরও এক সংস্থা সেই অনুমতি পেল।