বঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিদ্বজ্জনগণ

বঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিদ্বজ্জনগণ। সহিংসতার তদন্তের জন্য এসআইটি এবং এনআইএকে বিষয়টি হস্তান্তর করা উচিত এই মর্মে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তাঁদের মতে বঙ্গীয় সহিংসতার তদন্তের জন্য এসআইটি এবং এনআইএর টিম গঠন করা উচিত। স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে যে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত, সেই সরকারী কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে হবে যারা কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।প্রাক্তন প্রশাসনিক আধিকারিকরা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা সম্পর্কে সোমবার রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই স্মারকলিপিতে, সহিংসতা তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের তদারকি করার জন্য বলা হয়েছে। একই সাথে বলা হয়েছে যে একটি সংবেদনশীল সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় “দেশের সংস্কৃতি ও অখণ্ডতার উপর দেশবিরোধী আক্রমণ” তদন্তের জন্য মামলাটি এনআইএর কাছে প্রেরণ করা উচিত।

রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে ১৭ জন প্রাক্তন বিচারপতি, ৬৩ প্রাক্তন বেসামরিক কর্মচারী, ১০ জন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ প্রাক্তন আধিকারিক স্বাক্ষর করেছেন। বলা হয়েছে যে, ভারতের সংবিধানের অধীনে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা বজায় রাখা বা ক্ষমতার পরিবর্তনে সহিংসতার কোনও স্থান নেই। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ২ শে মে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তৃণমূল কংগ্রেস আবারও ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে।

প্রাক্তন প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেন যে, এটা স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক সহিংসতার ফলে বেসামরিক মৃত্যুর বিষয়টি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীকরণ ব্যবস্থার মারাত্মক বিপর্যয়ের ফলাফল হিসাবে বোঝা উচিত। রাজনৈতিক সহিংসতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভিশাপ। আইন শৃঙ্খলা একটি রাষ্ট্রীয় বিষয়। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ভারতীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শিকড়কে আঘাত করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

https://www.tv9hindi.com/india/group-of-concerned-citizens-writes-to-president-seeks-sit-probe-into-post-poll-bengal-violence-668294.html

স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে যে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত। প্রথমত, সেই সরকারী কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে হবে যারা কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এর পরে, রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা উচিত। একইসাথে সহিংসতার প্রেক্ষিতে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে মামলাগুলি তালিকাভুক্ত করা উচিত এবং শেষ পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।


এ ছাড়া দেশের ২০০০ এরও বেশি মহিলা আইনজীবী প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে একটি চিঠি লিখেছেন, নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার বিষয়টি বিবেচনা করতে এবং তদন্ত ও মামলাগুলি নিবন্ধ করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে ২০৯৩ জন মহিলা আইনজীবী স্বাক্ষর করেছেন এবং তাদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে ২ মে থেকে রাজ্যে শুরু হওয়া সহিংসতায় নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। মহিলা আইনজীবিরা বলেছেন যে ২ শে মে থেকে সহিংসতার কারণে রাজ্য একটি ‘সাংবিধানিক সঙ্কটের’ মুখোমুখি হচ্ছে এবং এর কারণে রাজ্যের নাগরিকদের অবস্থার অবনতি ঘটছে।


: আমরা মূল স্মারকলিপির বাংলা অনুবাদটি দিলাম –

২৪.৫.২০২১

ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি,
রাষ্ট্রপতি ভবন,
নতুন দিল্লি।

মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহাশয়,

আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরের সচেতন নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি ফোরাম। যারমধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারক থেকে শুরু করে সাময়িক এবং অসামরিক বিভাগের প্রবীণ কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত এবং সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আমরা সবাই ভারতীয় গণতন্ত্রের​ গরিমা এবং তার পবিত্রতার​ প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি এবং আমরা আমাদের কালজয়ী পুরাতন সভ‍্যতা এবং সংষ্কৃতির অনুপ্রেরণায় পরিচালিত হয়ে এক শক্তিশালী অর্থনীতি এবং সুস্থ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে সাম্প্রতিককালে​ সমস্ত সুস্থ মানসিকতার নাগরিক, যাঁরা যেকোনো মূল্যে অহিংসার​ কাছে মাথা নত করেন এবং প্রতিহিংসা, আগ্ৰাসন এবং প্রতিশোধস্পৃহাকে সমূলে উৎপাটিত করার মাধ্যমে দেশের গনতন্ত্রকে সন্মান জানায়, তাঁদের সবার উদ্বেগের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং রক্তক্ষয়ী​ হানাহানি।
ভারতকে ‘পুণ্যভূমি’ বা ‘সৌভাগ‍্যশালী দেশ’ হিসাবে উল্লেখ করে স্বামী বিবেকানন্দ যখন অহিংসার গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন: “হাজার বছর ধরে ভারত শান্তিপূর্ণভাবে ছিল। এমনকি এর আগেও, যখন ইতিহাসের কোনও লিখিত বিবরনী ছিল না…. এক একটা বিশ্বাসের উপর ভর করে জন্ম হয়েছে নব চিন্তনের, আর তার প্রতিটি শব্দের পিছনেই​ নিহিত ছিল আশীর্বাদ এবং জড়িত ছিল শান্তির সুর।

আমরা এই স্মারকলিপিটি জমা দিচ্ছি কারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে, শুধুমাত্র অন‍্য কোনো রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়ে নিজের গনতান্ত্রিক অধিকার ব‍্যক্ত করা হয়েছে বলে এইসমস্ত সাধারণ মানুষ বিমুঢ় উস্কানির ফলে তৈরী হওয়া সহিংসতার​ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চলেছে, আর তা দেখে আমরা যারপরনাই বিস্মিত এবং ব‍্যথিত। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুসারে খুন, ধর্ষণ, ব্যক্তি ও সম্পত্তির উপর হামলা এবং দেশবিরোধী দ্রব‍্যসামগ্ৰীর দ্বারা আক্রান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে মানুষকে বাধ‍্য হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিভৃতবাসে থাকতে হয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের
অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এবং অসহযোগিতার সাক্ষ‍্যবহন করে। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাগুলি যদি এখনই দমন না করা হয় তবে তা এমন এক প্রবণতার​ প্রতিষ্ঠা করতে পারে যা ভারতীয় গনতন্ত্রের ঐতিহ‍্যের সুগভীর মূলকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংস করে দেবে।

সরকার এবং সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলির দেশের নাগরিকদের জীবন ও তাদের স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে যা এই রাজনৈতিক সহিংসতার​ ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
গণমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় বলি হয়েছেন এক ডজনেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও এবং ১৫০০০ এরও বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মধ্যে ১৬টি জেলা এই হিংস্রতার করালগ্ৰাসে খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ, ৪০০০ থেকে ৫০০০জন মানুষ আসাম, ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যাতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই হানাহানিতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য একটি বিশেষ ত্রাণের​ প্যাকেজ ঘোষণা করা ভীষণ দরকার এবং পুনর্বাসনের সাথে সাথে তাদের সুরক্ষিত রাখার সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করাও উচিত। ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, এবং নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার চেষ্টা, বিশেষত তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের লক্ষ্যবস্তু করা এবং ধর্মীয় অশুচিকরনের মতো ঘটনাগুলি ভোট পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার সবচেয়ে খারাপ দিক। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, অনেকগুলি অপরাধের​ নিবন্ধীকরণ হয়নি।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়​ কোনোরকম সহিংসতা ছাড়াই রাজনৈতিক পরিবর্তন উপলব্ধ হয় অর্থাৎ যেখানে হানাহানি ছাড়াই রাজনৈতিক ক্ষমতা রক্ষা করা সম্ভব। জনপ্রিয়তার মূল চাবিকাঠি অন্তর্নিহিত থাকে জনগণের মন জয় করার​ মধ্যে, যারা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে সমর্থন করেনা তাদের রক্ত ঝরানোর মধ্যে নয়। নির্বাচন পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে​ এই প্রতিশোধাত্মক হিংসার গতিপ্রকৃতি এবং মাত্রা দেখে অবাক হতে হয়, এই সহিংসতা তো ভারতীয় সংবিধানের সেই মৌলিক অধিকারকে সরাসরি খর্ব করছে, যেখানে মানুষকে নিশ্চিত করা হয় এই বলে যে দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য বা যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার​ পালাবদলও ঘটে তবুও সেটা হবে সম্পূর্ণভাবে​ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং সেখানে হিংসার কোনো স্থান থাকবে না।

নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে, এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ‍্যের সামরিক বাহিনীর, বিশেষ করে পুলিশদের, সমস্ত রকম রাজনৈতিক প্রভাবের উর্ধ্বে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে​, প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতিতে এবং জনসাধারণের​ পাশে দাঁড়ানোর অবিচল মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলা উচিৎ ছিল। এটা স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজনৈতিক সহিংসতার কবলে পড়ে রাজ‍্যের নাগরিকদের​ এই মৃত্যুর বিভৎসতার সিংহভাগই ঘটেছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের ভুলের জন্য। ফলে তৈরী হয়েছে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির যাকে ” রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ” হিসাবে অভিহিত করা যায়।

রাজনৈতিক সহিংসতাই হ’ল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসের মূল কারণ। তাই যেকোন ভাবেই এই মূল‍্যবোধকে রক্ষা করা একান্ত আবশ্যক। আইন-শৃঙ্খলার রক্ষা রাজ‍্যের নিয়ন্ত্রনাধীন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য এবং তার সরকারকে সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী শক্ত হাতে রক্ষা করতে হবে আইন-শৃঙ্খলা, বন্ধ করতে হবে এই সহিংসতা এবং নিশ্চিত করতে হবে রাজ‍্যের সমস্ত স্তরের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি।
রাজ‍্যপালের নিজস্ব সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে তৈরী করা বিবরনী এবং তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ‍্যের পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ‍্যের শান্তি এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন‍্য সামরিক বাহিনীর হাত আরও শক্তিশালী করতে হবে। আর তারজন‍্য রাজ‍্যে যখন যেখানে দরকার হবে তখনই যথেষ্ট পরিমাণে সিএপিএফ কর্মী নিযুক্ত করতে হবে।
আমরা বিনীতভাবে আমাদের রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ এবং আনুকূল্য প্রার্থনা করছি, তার সাথে দেশের জনগণের হয়ে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, তিনি যেন এই নির্বাচন পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের​ সহিংসতা দমন করে দেশের গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত করে তোলেন, যাতে তা আর কোনোভাবেই কলঙ্কিত বা নষ্ট হতে না পারে। আর পরবর্তী প্রজন্মকেও​ যেন না এর ফল ভোগ করতে হয়। আরও একবার অনুরোধ করছি, এই ঘটনার সাথে জড়িত কালপ্রিটদের যাতে কোনোভাবেই ক্ষমা করা না হয়। প্রথমতঃ সেইসব সরকারী কর্মচারীদের খুঁজে বের করতে হবে যাঁরা নিজেদের কর্তব্যে অবহেলা করে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্ৰহন করেননি, দ্বিতীয়ত: চিহ্নিত করতে হবে রাজনৈতিক মদতদাতাদের, তৃতীয়তঃ সহিংসতার বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা ঋজু করা উচিৎ এবং পরিশেষে, এই ঘটনার সাথে যুক্ত সেইসব আসল অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমরা সুপারিশ জানাচ্ছি যে এই ঘটনার স্বচ্ছ এবং দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের তরফ থেকে যেন একটি এসআইটি করা হয় এবং তা নিয়ন্ত্রনের জন্য একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে​ নিয়োগ করা হয়। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ একটি সংবেদনশীল সীমান্ত রাজ‍্য তাই আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি যে এনআইএ- কে যেন এই মামলাগুলি হস্তান্তরিত করা হয় যাতে কোনোরকম দেশদ্রোহী কার্যকলাপ দেশের সংস্কৃতি এবং অখন্ডতার গায়ে আঁচড় কাটতে না পারে।

সর্বাধিক শ্রদ্ধা সহ
আপনার আস্থাভাজন

*1. *ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়*
প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত
মোবাইল নং 8130104016

*2. *প্রবীণ দীক্ষিত*
প্রাক্তন ডিজিপি, মহারাষ্ট্র
মোবাইল নং 9765551133

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.