মেয়েকে সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে দল ছেড়ে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।বাবুল খুব অল্প সময়ে জাত চিনতে পেরেছে সেই জন্য বাবুল সুপ্রিয়কে ধন্যবাদ।বাবুল সুপ্রিয়কে কেন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল এখন তা জলের মতো পরিস্কার।যে মেয়েকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়ার কথা তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন সেই মেয়েটি তার দ্বিতীয় সংসারের মেয়ে।অর্থাৎ পারিবারিক ভাবেও বাবুল সুপ্রিয় একজন অসৎ মানুষিকতার লোক ছিলেন।বিজেপির ভাগ্য ভাল যে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছিলেন নইলে আরো বড় ভুলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে হত।বাবুল সুপ্রিয় নিজেকে উৎসর্গ করে
রাজনীতিতে আসেনি।এসেছিল উচ্চাশা নিয়ে যা বিজেপির রাজনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।ত্যাগের ব্রত না নিয়ে যারা বিজেপির রাজনীতিতে আসবে তাদের পরিনতি বাবুল সুপ্রিয়র মতোই হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।পঃবঙ্গ বিজেপিতে এখনো যারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে রাজনীতিতে রয়েছেন তাদের পরিনতিও এক সময় বাবুল সুপ্রিয়র মতোই হবে।বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগে বিজেপি শাপমুক্ত হল।
বিজেপি ব্যক্তিনির্ভর কোন দল নয়।বিজেপির এমন বহু নেতা ঝরে পড়েছে আত্মম্ভরিতা আর উচ্চাভিলাসের কারনে।রাজনীতিতে নীতি নৈতিকতা বলে একটি বিষয় রয়েছে যা মানুষের জন্য সমাজের জন্য দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বাবুল সুপ্রিয়র ছিল না।নীতি শিক্ষা ধর্ম শিক্ষার একটি অঙ্গ।নীতি বিবর্জিত মানুষ সমাজের বোঝা।বিজেপিকে যারা সমর্থন করেন তারা ব্যক্তিকে দেখে নয় জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমর্থন করেন।বাবুল সুপ্রিয় ব্যক্তি হিসাবে সাংসদ নির্বাচিত হননি দলের নীতি আদর্শ এবং ভারতের হাজার বছরের পরম্পরা পুনঃরুদ্ধারের যে অঙ্গীকার বিজেপির ইস্তাহারে রয়েছে তার প্রতি সমর্থন করে মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়।গত নির্বাচনে পঃবঙ্গে, বিজেপি ২কোটি ২৮লক্ষ ভোট পেয়েছিল।তার একটি ভোটও প্রার্থীকে দেখে নয় জাতীয়তাবাদী চেতনায় দিয়েছে।ভবিষ্যতে বিজেপির সিটে উপ-নির্বাচনে তা প্রমান হবে।
রতনে রতন চিনে শূয়রে চিনে কচু।বাবুল সুপ্রিয় তার যোগ্যতানুসারে ঠিক জায়গা চিনে নিয়েছে।টেট পাশ না করে যারা চাকরি পায়,
যোগ্যতা মানের নীচে নম্বর পেয়ে যারা ডাব্লুবিসিএস এ চাকরি পায় হাইকোর্টের থাপ্পড় খেয়ে জরিমানা দিয়ে নাকে খত কেটে যারা ভুল স্বীকার করে তাদের কাছে বাবুল সুপ্রিয় একজন যোগ্য ব্যক্তি।কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় অন রেকর্ড বলেছিলেন কাদের নামে কয়লার টাকা কোন গাড়িতে কোথায় যায় আর আজ তাদের হাতেই সে গলায় মালা পড়ে তাদের বশ্যতা স্বীকার করেছে।এখন তাদের আদেশ নির্দেশ মেনে তাকে চলতে হবে।মানুষ হিসাবে এরচেয়ে অপমানের আর কিছু হতে পারে বলে মনে হয়না অথচ বাবুল হাসিমুখে সানন্দ চিত্তে সেই অপমান গায়ে মেখে নিয়েছে।এমন মীর্জাফরের হাত থেকে নিস্ক্রিতি পেয়ে দলের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।
অপশক্তির কাছে মাথাটা নোয়াতেই হল। নারায়ণ দেবনাথ