তপন দার সাথে শেষবার, আর কখনো দেখা হবে না। তপন দার লড়াই কে যদি একটুও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেটাই জীবনের সবথেকে বড় পাওনা। ভালো থাকবেন তপন দা। দেখা হবে পরের জন্মে ।
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥২০॥
আত্মার কখনও জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না৷ তিনি জন্মরহিত শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনও বিনষ্ট হয় না।
রাজনীতির হাতেখড়ি আপনার হাত ধরে হয়ে ছিল, স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে আপনিই শিখিয়েছিলেন।সত্যের জন্য সবকিছুই হেলায় ত্যাগ কি করে করতে হয় সেটা আপনার কাছ থেকে শিখেছি।
এক নির্ভীক ,আপোষহীন ,স্পষ্টবাক্ যোদ্ধার কন্ঠস্বর। রাজশক্তি ও জনশক্তির পাশাপাশি অবস্হান কত গুরুত্বপূর্ণ। মুগ্ধ হয়েছিলাম তার ব্যাখ্যায়।
হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠা করলেন ,নেতৃত্ব দিলেন ,’জয় বাঙ্গালী ,জয় মাকালী’ মন্ত্রে হিন্দুত্ববাদে বাঙ্গালী স্বকীয়তা আনলেন।
মাটি কারো বাপের হয় না,
মাটি হয় দাপের।
তোমরা জানোয়ার হলে, আমরা হবো ক্ষুাধার্ত শিকারী।
এই ভাবেই মাটির দখল নিতে শেখালেন তিনি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ (Tapan Ghosh)। আজ রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে অনুগামীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই শোক প্রকাশ করেছেন বহু রাজনৈতিক নেতারা। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বহু বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি শরীরে ছিল করোনার উপসর্গও। গত মাসের ২৮ তারিখে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছিল তাঁর চিকিৎসা। চিকিৎসাতে সাড়াও দিচ্ছিলেন। যা দেখে ডাক্তাররাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে। কিন্তু আজ রবিবার সন্ধ্যায় হঠাত করেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তপন ঘোষ।
দীর্ঘ ১৪ দিনের লড়াইয়ের ইতি ঘটে আজ রবিবার সন্ধ্যায়। দীর্ঘ দিন তপন ঘোষ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে ২০০৭ সালে তিনি হিন্দু সংহতি নামক নয়া সংগঠন চালু করেন। পশ্চিমবঙ্গের সকল জেলায় শাখা খোলা হয় এই সংগঠনের। পরে বাংলার বাইরেও এই সংগঠনের শাখা খোলা হয়।
মূলত হিন্দুদের নিয়েই তৈরি হয় এই সংগঠন। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এমনকি প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণের অভিযোগও ওঠে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে কলকাতায় ধর্মতলায় বিশাল জনসভার আয়োজন করেন তপন ঘোষ। সেই সভা থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তপন ঘোষের বিরুদ্ধে। এমনকি ধর্মতলায় প্রকাশ্যে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
এরপরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হিন্দু সংহতি এবং তপন ঘোষের সভা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই বছরেই হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধীয় বক্তব্য পেশ করতে বিদেশ যাত্রাও করেন তপনবাবু। বিদেশে তাঁর বক্তব্য ঘিরেও তৈরি হয় একাধিক বিতর্ক। কিন্তু কোনও দিনই দমে যাননি। হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু বহুজনের আবেগ জড়িত থাকায় নিজে সরে দাঁড়ালেন নানা কারণে। সে ব্যক্তি কতটা আপোষহীন হলে তা করতে পারে। অথচ তাকে শেষ সময় পর্যন্ত কী শুনতে হয়েছে নানা কথা। বিরোধিতা থাকতেই পারে তাই বলে এরকম নমুনা রাখতে হবে !!! হিন্দুত্ববাদের একচেটিয়া বাজার কে তিনি দলীয় রাজনীতির উর্ধে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন ,কজন বুঝেছে সে কথা।
এত কিছুর পরেও একটু অভিমানের অধিকার মানুষটি পাবেনা !!! কেউ একটু বোঝার চেষ্টা টুকুও করলনা।
না আমি স্বর্গযাত্রা কামনা করিনা ,তিনি ফিরে আসুন এই অনুরোধই করি ………..প্রনাম।