‘ফরেস্টে কেউ মদ খাবেন না’ – এমনটাই লেখা বোর্ডে। কোথাও আবার – ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’। কোনও বোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘স্টপ স্মোকিং’। শুরু হয়েছে ফরেস্টের যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগ না-করার প্রচারও। সতীর একান্ন পীঠের একটি পীঠ হিসেবে পরিচিত জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জের মা ভ্রামরী দেবীর মন্দির কমিটি বনের পরিবেশ বাঁচাতে শুরু করেছে এই প্রচার।
বোদাগঞ্জের ওই এলাকা বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের মধ্যে পড়ে । কথিত আছে, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর মন্দির ওই এলাকাতেই। সন্ন্যাসীস্থানে দেবী চৌধুরানী মন্দিরের কাছেই মা ভ্রামরী দেবীর মন্দির। সতীর বামপদ পড়েছিল এখানে। চারপাশে শালবন। এই গাছগুলি বাঁচাতেই মন্দির কমিটি এখন অনেক বোর্ড বা প্রচার তুলে ধরেছে। মন্দির কমিটির তরফ থেকে লজেন রায় জানান, সম্প্রতি তাঁদের মন্দির চত্বরে সাংসদ কোটা থেকে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। এই মন্দিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসছেন। স্থানমাহাত্ম্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথোপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য।