আসুন কথা বলি সুশান্তের সঙ্গে। সুশান্ত দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র এবং স্বয়ংসেবক।
বিধ্বংসী করোনার ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে চলা লকডাউনকে মান্যতা দিয়েও RSS নিজের শাখাগুলোকে সক্রিয় রাখতে পেরেছে। আর এক্ষেত্রে তারা সাহায্য নিয়েছে প্রযুক্তির।
একদিকে যখন বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, বেসরকারি কোম্পানী এমনকি সরকারী সংস্থা গুলোও ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে “work from home ” পদ্ধতিতে তাদের দৈনন্দিন কাজ চালাচ্ছে ঠিক সেরকমভাবেই একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে RSS এর শাখার সদস্যরা পরস্পর যোগাযোগ রক্ষা করে একটি পূর্বনির্ধারিত সময়ে সবাই একসাথে বাড়িতে বসেই শাখার দৈনন্দিন নির্দিষ্ট কাজগুলো করছে।
সুশান্ত নিজের বই দিয়ে ভরা নিজের ছোট্ট এক কামরার ঘরেই একটু জায়গা বানিয়েছে। যাতে সে ঐ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই শাখাতে শেখানো দৈনন্দিন কাজগুলো যেমন শরীর সুস্থ রাখার জন্য শারীরিক ব্যায়ামগুলো করতে পারে। সে আমাদের এটাও জানালো যে শাখায় কিছু অভিনব খেলাও শেখানো হয়। ওর কথায় ” একটি পূর্বনির্ধারিত সময়ে আমরা এক ঘন্টার জন্য শাখায় মিলিত হতাম। আমরা সেখানে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতাম। আমাদের শাখাপ্রমুখ আমাদের বিভিন্ন অভিনব খেলাও শেখাতেন। যেমন না থেমে কতক্ষণ ধরে আমরা রাম নাম একটানা করে যেতে পারি। এখনো কিন্তু আমরা ঐ একই ভাবে শাখা চালাচ্ছি। হ্যাঁ অন্যান্য স্বয়ংসেবক দের পারস্পরিক সান্নিধ্য টা মিস্ করছি। কী করা যাবে বলুন সময়টাই এমন যে এটুকু তো মানতেই হবে।” প্রসঙ্গত সে জানালো যে তার অনেক বন্ধু বান্ধব যারা ইতিমধ্যেই একঘেয়েমি তে অস্থির হয়েছে, তারাও এখন তার কাছে এই ই শাখাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে এবং কয়েকজন তো ইতিমধ্যেই ঐ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ই শাখায় আসছে।
পুরো দিল্লী জুড়ে এভাবেই RSS মোট ১১১৫ টি ই শাখাকে সক্রিয় করে প্রায় ১১০০০ মানুষকে যুক্ত করেছে।নিয়মিত শাখা ছাড়াও “শাখা পরিবার শাখা” নামে আরও বেশ কিছু শাখাও RSS এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চালাচ্ছে। এক RSS আধিকারিক জানালেন এমন প্রায় ২৬৯ টি পারিবারিক শাখাও তারা দিল্লী জুড়ে চালাচ্ছেন যাতে প্রায় ১০০০ মানুষ যুক্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৪ শে মার্চ ২০২০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) করোনা ভাইরাস (Corona virus) এর সংক্রমন ছড়িয়ে পড়া আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের (Lockdown) ঘোষণা করেন।