আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মা রজনী তেন্ডুলকরকে ‘বেগুনের ভরতা’ রান্না করে খাওয়ালেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচিন তেন্ডুলকর। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রসংঘ এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই উপলক্ষ্যে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন এই পদ রান্না করেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। শচিনের মা এলআইসির প্রাক্তন কর্মী। কাজ করতেন মহারাষ্ট্রের সান্তাক্রুজ শাখায়। সেখান থেকেই অবসর নিয়েছেন। শচিন জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন সময় মাকে বলেছেন, ‘আয়ি, চাকরি ছেড়ে দাও। অন্তত রান্নার একজন লোক রাখ।’ কিন্তু, চিকিৎসক তাঁকে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন, চাকরি এবং কাজের মধ্যে থাকাতেই রজনী দেবী সুস্থ রয়েছেন। ডাক্তারের সেই পরামর্শ মাথায় রেখেই তিনি রজনী দেবীকে চাকরি ছাড়ার জন্য আর জোরাজুরি করেননি বলেই জানিয়েছেন শচিন।
রজনী তেন্ডুলকর জানিয়েছেন, তিনি বরাবর হেঁটেই অফিসে যেতেন। শচিনের জনপ্রিয়তার জন্য ১৯৯২ থেকে ৯৪ সাল আর হেঁটে অফিসে যেতে পারেননি। ওই সময়টা চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতেই কাটিয়েছেন। এলআইসি তাঁকে প্রধান দপ্তর যোগক্ষেম ভবনে বদলির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, তিনি সেই প্রস্তাব মেনে নেননি বলেই জানিয়েছেন রজনীদেবী। কারণ, যে শাখায় কাজ করতেন, সেটা বাড়ির কাছে। সেখানে হেঁটে যাওয়া ছিল তাঁর কাছে সুবিধার। অটোরিকশায় চাপতেন না। কারণ, অটোরিকশা ঘুরপথে তাঁর গন্তব্যস্থলে যেত। তাঁর ভয় ছিল, এতে তাঁর অফিসে পৌঁছতে দেরি হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বাড়িতে ফিরে তিনি নিজেই রান্না করতেন। কারণ, রান্না করতে তাঁর ভালো লাগত। এখন তিনি অসুস্থ। হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়। তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে রান্না করতে তাঁর ভালোই লাগে। এই ভালোলাগাকে সম্মান দিয়েই শচিন এদিন তাঁর মাকে ‘বেগুনের ভরতা’ রান্না করে খাওয়ান।